টাঙ্গাইলে ভুঞাপুরে পরকীয়া প্রেমিককে ডেকে এনে হত্যা পর বস্তাবন্দি কর মরদেহ বিলের পানিতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ফলদার ঘোনার পাড়া মোইশা বিল থেকে পরকীয়া প্রেমিক জয়নাল আবেদীনের মরদেহ (৩০) উদ্ধার করে পুলিশ। জয়নাল আবেদীনের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায়। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় সিএনজি চালক ছিলেন।
এর আগে পরকীয়া প্রেমিকার স্বামী উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া এলাকার মৃত সাইদ আলী ওরফে গণেশের ছেলে জীবনের জবানবন্দি অনুযায়ী ওই বিল থেকে প্রেমিকের বস্তাবন্দি গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ফলদা এলাকার জীবনের স্ত্রী কালিয়াকৈর থাকাকালে সিএনজি চালক জয়নালের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তাদের অবৈধ সম্পর্ক স্বামী জীবন জেনে যায়। পরে স্ত্রীর সাথে কথা বলে গত ৬ সেপ্টেম্বর জয়নালকে কালিয়াকৈর থেকে ফলদায় ডেকে নিয়ে আসে। এরপর আর জয়নালের খোঁজ না পাওয়ায় তার পরিবার কালিয়াকৈর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পরে পুলিশ জীবনের সংশ্লিষ্টতা পেলে তাকে আটক করে। পরে জীবন হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর তার কথা অনুযায়ী গ্রামের বাড়ি ফলদার ঘোনাপাড়ার বিল থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় জীবন উপস্থিত ছিলো।
ফলদা ঘোনাপাড়ার ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক মিয়া বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ওই ব্যক্তিকে ডেকে এনে হত্যার পর মরদেহ বিলে ফেলে দেয়া হয়। পরে জীবনের কথামত ভুঞাপুর থানা ও কালিয়াকৈর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তবে মরদেহটি পঁচে গেছে।
ভুঞাপুর থানার উপপরিদশর্ক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, প্রেম ঘটিত কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে জীবনের কথা অনুযায়ী ফলদার বিল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জীবন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ
