হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কামারগাওয়ে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকলে কলেজ ও হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে নিহতরা হলো- কামারগাও গ্রামের চেরাগ মহালদারের ছেলে ইউসুফ মিয়া (৪০) ও হাছন আলীর ছেলে উস্তার মিয়া (৪২)। এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ১টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন একে অন্যের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুরের তাণ্ডব চালিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে কামারগাও গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া ও তার লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের চেরাগ মহালদারের ছেলে ইউসুফ গংদের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মাস খানেক পূর্বে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ইউসুফ মিয়া ও তার ভাই লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে ফারুক মিয়ার পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে তারা জামিন জামিন লাভ করেন। এরপর থেকে উভয় পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই দিন পূর্বেও তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সন্ধ্যায় পুনরায় উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টায় ইউসুফ মিয়া ও উস্তার মিয়াসহ তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহত ইউসুফ মিয়া, উস্তার মিয়া, আতাউর মিয়া, সোলেয়মান আহমেদ, হাছন আলী, শহীদ মিয়া ও কালা মকসুদসহ ১৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা করা হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক ইউসুফ মিয়া ও উস্তার মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল খয়ের জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। নিহতদের মরদেহ হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত