মুন্সিগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার হলো। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে দুই শিশু।
রবিবার উদ্ধার অভিযানের তৃতীয় দিনে সকাল ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশের মেঘনা নদী থেকে থেকে সাব্বির হোসেনের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে চাঁদপুরের মোহনায় ষাট নল এলাকায় অজ্ঞাত (৪০) একজনের লাশ পাওয়া যায়। এর আগে, চাঁদপুরের মোহনপুর এলাকায় সকাল ৭টার দিকে ভাসমান অবস্থায় শিশু জান্নাতুল মারোয়ার (৮) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জ সদরের রমজান বেগ এলাকা থেকে সুমনা আক্তারের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুল করিম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত সাব্বির রংপুরের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকতা করতেন। আর জান্নাতুল মারোয়া গজারিয়ার দক্ষিণ ফুলদি এলাকায় কাজী বোরহানের মেয়ে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ছুটির দিনে স্বজনরা মিলে গজারিয়া থেকে মুন্সিগঞ্জ-নারায়গঞ্জের সীমান্তবর্তী চরকিশোরগঞ্জে ট্রলারযোগে ঘুরতে যায় ১২ জন আত্মীয়। ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফেরার পথে মেঘনা নদীর মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই