বিএনপি-জামায়াতের চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে বগুড়া থেকে ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস। শহরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে দুই একটি বাস চলাচল করলেও শঙ্কায় যাত্রী ছিলো একেবারে কম। ফাঁকা পড়ে ছিলো সড়ক মহাসড়ক। মাঝে মাঝে দুই একটি মালবাহী ট্রাক চলাচল করেছে। এদিকে জেলা শহরের মাঝে ছোট যানবাহন, অফিস, আদালত, বিপনী-বিতান সব ছিলো স্বাভাবিক।
রবিবার বগুড়া শহর ঘুরে দেখা যায়, চতুর্থ দফার অবরোধের প্রথম দিনে সিএনজি-অটোরিকশা চলাচল বেড়েছে। জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে চলে ছোট ছোট যানবাহন। শহরের মোড়ে-মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ সদস্যরা। সার্বক্ষণিক শহরে বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ টহল দেয়। সকাল থেকে দূরপাল্লার কোন যানবাহন চলাচল করেনি। তবে নওগাঁ সড়কে দু-চারটি বসা চলাচল করতে দেখা যায়। অবরোধে বগুড়া বড় ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এদিকে সকালে ৭টায় অবরোধের সমর্থনে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়ক এবং শহরের ২য় বাইপাস সড়ক অবরোধ করে বিএনপি জামায়াত। গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবরোধকারিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপরে বগুড়ায় সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার শাজাহানপুরের ফটকি ব্রিজ এলাকায় ঢাকা- বগুড়া মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহি সিএনজিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। সিএনজি চালক মহাসড়কের পাশে তার সিএনজি রেখে পরিবারের লোকজন নিয়ে সবজি তুলতে যায়। এসময় মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন যুবক সিএনজি ভাংচুর করে চলে যায়।
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই যুবকরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রথম দিন বগুড়ায় সকাল থেকেই সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, পণ্যবাহী পিকআপ চলাচল করেছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম। এছাড়াও সড়কে যাত্রী কম ছিল। শহরের চারমাথা বাস টার্মিনালে প্রায় সব ধরনের বাস বন্ধ দেখা যায়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল