শত বছরের ছানা তৈরির ঐতিহ্য ধরে রেখেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম এলাকার পঞ্চাশটি ঘোষ পরিবার। পূর্বপুরুষের পেশাই ছিল দুধ থেকে ছানা তৈরি করে বিক্রি। সেই পেশাকে পরম মমতায় যত্নে আগলে রেখেছে তাদের বংশধররা। পরিবারের সকলেই এই কাজের সাথে জড়িত। খুব প্রয়োজন না হলে শ্রমিক নেন না তারা। তবে কাজের চাপ বেশি হলে শ্রমিক নিয়োগ করেন তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, দরগ্রাম এলাকার প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার ছানা ও ঘি বিক্রির সাথে জড়িত। পূর্ব পুরুষের কর্মকে যত্ন সহকারে ধরে রেখেছে এখনকার ঘোষ পরিবার। পরিবারের নারী-পুরুষ সকলেই এই কাজের সাথে জড়িত। এছাড়া অনেক শ্রমিক এ কাজ করে সংসার চালাচ্ছে।
দুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূলধন বেশি লাগে তাই সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের দাবি জানান ছানা ব্যবসায়ীরা।
মানিকগঞ্জের খাঁটি দুধের ছানার প্রচুর চাহিদা রয়েছে ঢাকার মিষ্টির দোকানে। প্রতিদিন একটি ঘোষ পরিবার দুই থেকে তিন মণ ছানা বিক্রি করে থাকে। প্রতি কেজি ছানা বিক্রি করে তিনশ টাকা। আর ঘি বিক্রি করে এক হাজার দুইশ টাকা। অনেক বেপারি বাড়ি থেকে ক্রিম কিনে নিয়ে ঘি তৈরি করেও বিক্রি করে। প্রফুল্ল ঘোষ জানান, দুধে আগের মতো ক্রিম উঠে না। বেশি দুধের আশায় লোকজন দেশি গরুর পরিবর্তে বিদেশি গরু পালন করে। এসব গরুতে দুধ বেশি হলেও ক্রিম কম উঠে। তারপরেও আমাদের মানিকগঞ্জের ছানার ঢাকায় প্রচুর চাহিদা। অনেক সময় চাহিদা মতো মাল দিতে পারি না। কম সুদে সরকার ঋণ দিলে আমরা আরো ভালো করবো। দরগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলিনুর বকস্ রতন বলেন, এই ঘোষ পরিবারের লোকজন অত্যন্ত কর্মঠ। তারা পরিশ্রম করে পূর্ব পুরুষের ব্যবসাকে ধরে রেখেছে। এখানকার ছানা ও ঘির সুনাম সারাদেশে। মানিকগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আফছার উদ্দিন সরকার বলেন, এখানকার ছানা ও ঘি কিভাবে আরো বেশি বাজারজাত করা যায় তার জন্য আমরা কাজ করছি। ঘোষ পরিবারের সাথে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। তাদের যদি ঋণের প্রয়োজন হয় সাধ্যমতো সহযোগিতা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ