বলাৎকারের শিকার হয়ে তা প্রকাশ করার কথা বলায় মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা করেছে একই প্রতিষ্ঠানের আরেক ছাত্র। হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখার একদিন পর নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে বাউফল থানা পুলিশ।
রবিবার নিহত আতিকুল ইসলামের (১০) মা হামিদা আক্তার বাদী হয়ে একজনকে আসামি করে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘটনায় জড়িত ঘাতক মাইনুল হোসেনকে (১৫) গ্রেফতার করার পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডাল গ্রামের ফজলুর রহমান মুন্সী বাড়ী জামে মসজিদের সেপটি ট্যাংক থেকে আতিকুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপাশা ইউনিয়নের মধ্য জিড়াইল গ্রামের সরোয়ার সরদারের ছেলে আতিকুল ইসলাম। সে বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। আতিকুল ইসলাম স্থানীয় দারুল উলুম নুরানী হাফেজী ও এতিমখানার হেফজ শাখার ছাত্র ছিল। সে ওই মাদ্রাসায় তিন বছর আগে ভর্তি হন।
পুলিশ জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরে মাদ্রাসা ছাত্র আতিকুল ইসলামকে ফুসলিয়ে ও জোড়পূর্বক বলৎকার করে আসছে একই মাদ্রাসার ছাত্র মাইনুল হোসেন (১৫)। বিষয়টি আতিক সকলের কাছে প্রকাশ করবে এমন ভয়ে মাইনুল হোসেন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ট্যাংকির ভিতর লুকিয়ে রেখেছে। শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল আতিকুল। পরে এলাকাবাসীর খবরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাশের একটি মসজিদের সেপটিক ট্যাংকি থেকে আতিকুলের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর এলাকাবাসী ঘটনায় জড়িত একমাত্র আসামী মাইনুল হোসেনকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করে।
বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, সেপটি ট্যাংকি থেকে মাদ্রাসার ছাত্র আতিকুল ইসলামের (১০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া সঠিক করে বলা যাবে না তাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামি মাইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার শিয়ালগুনী এলাকায় মজিবর রহমান হাওলাদারে ছেলে মাইনুল।
বিডি প্রতিদিন/এএম