২০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:৪৭

এবার এমপি বাহারের নির্দেশে ২ সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

এবার এমপি বাহারের নির্দেশে ২ সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ

আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার

কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে দুই সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার নগরীর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের ফটকে এ ঘটনা ঘটে। 

হামলার শিকার হন একাত্তর টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী এনামুল হক ফারুক ও ক্যামেরাপার্সন সাইদুর রহমান সোহাগ। 

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি বিএনপি-জামায়াতের কোনও কর্মীকে নির্বাচনে কোনও প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া গেলে তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন। 

হামলার শিকার কাজী এনামুল হক ফারুক বলেন, অফিসের লাইভ প্রোগ্রাম ছিল। যুক্ত হওয়ার জন্য স্টেডিয়াম এলাকায় আসি। এখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে তার নেতাকর্মীরা আমার ওপর হামলা করে। এসময় তারা আমার ক্যামেরাপার্সন সাইদুর রহমান সোহাগের ওপরও হামলা করে। তারা আমার মোবাইল ও লাইভ ডিভাইস নিয়ে গেছে।

ক্যামেরাপার্সন সাইদুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা লাইভে যুক্ত। এমপি মহোদয় এসে আমাদের দেখিয়ে নেতাকর্মীদের বলেন, এই "ফারিক্কা (এনামুল হক ফারুক), ওই ফারিক্কা কুত্তার বাচ্চারে ধর।" এসময় নেতাকর্মীরা ফারুক (এনামুল হক ফারুক) ভাই ও আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। উনার পিএস আমাকে এলোপাতাড়ি মেরেছে। আমার পুরো শরীরে ব্যথা করছে। তারা মোবাইল ফোন ও লাইভ ডিভাইস নিয়ে গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী কুমিল্লা প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক বাহার রায়হান বলেন, আমরা কুমিল্লা-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্বাচনী প্রচারণায় নিউজ কাভার করার জন্য আসি। 

সভা শেষে সাংবাদিকদের দেখে তিনি বলেন, কোন টিভির সাংবাদিক আমার কাভারেজে আসবে না। তখনই একাত্তর টিভির সাংবাদিকদের দেখে তেড়ে আসেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তার নেতাকর্মীরা একাত্তরের প্রতিনিধি ও ক্যামেরাপার্সনের গায়ে হাত তোলেন। ডিভাইস ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু আজই নয়, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রচারণার প্রথম দিন কুমিল্লার চাঁনপুর এলাকায় তার উঠান বৈঠকে আমাকে দেখে স্টেজ থেকে মালটা দিয়ে ঢিল মারেন। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তার কাছে কি আছে সবাই চেক কর।

এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে ফোন দিলে অনুষ্ঠানে ব্যস্ত আছেন বলে কল কেটে দেন এমপি বাহার।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি বিএনপি-জামায়াতের কোনও কর্মীকে নির্বাচনে কোনও প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া গেলে তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ অভিযোগে কুমিল্লা সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে একদিনে দুটি শোকজ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) তাকে শোকজ করেন কুমিল্লা-৬ সংসদীয় আসনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন ইকবাল।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর