সিলেটের বিশ্বনাথের আলোচিত ইটভাটা শ্রমিক আমিন মিয়া সিয়াম (১৬) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আলামতসহ মূল ঘাতককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। তার নাম আরকুম আলী (৪০)। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের উত্তর আজিজনগর (কান্দি) গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে। আরকুম আলীই বলাৎকারের পর শ্বাসরোধে সিয়ামকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ রবিবার দুপুরে বিশ্বনাথ থানা কম্পাউন্ডে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটি জানান সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেফতারের পর আরকুম আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আরকুম জানিয়েছে, একই ইটভাটাতে কাজের সুবাদে সিয়ামের সাথে পরিচয় হয় তার। গত বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ইটভাটায় কর্মরত সিয়ামের পিতা ও বড়ভাই প্রয়োজনীয় কাজে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে গেলে পরে তাকে বলাৎকারের ফন্দি আটে সে। ওইদিন রাত ৮টার দিকে ইটভাটার নিকটবর্তী পূর্বপাশের হয়দরপুর হাওরে সিয়ামকে নিয়ে যায় আরকুম। সেখানে তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। সিয়াম ঘটনাটি তার পিতা ও ইটভাটার ম্যানেজারকে জানাবে বললে সিয়ামের সাথে থাকা তোয়ালে দিয়ে মুখ চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে।’
প্রসঙ্গত, সিলেটের বিশ্বনাথে নিখোঁজের তিনদিন পর শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় আমিন মিয়া সিয়াম (১৬) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের উত্তর আজিজনগর এফসি ইটভাটা সংলগ্ন হাওর থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চন্টা ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও বিশ্বনাথের এফসি ইটভাটার শ্রমিক সর্দার আকবর আলীর ছেলে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল