নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় রাণীনগর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড ও কাশিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। আর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) আনোয়ার হোসেন হেলাল রানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আহতরা হলেন-রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, রানীনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, রবিউল ইসলাম, কাশিমপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মণ্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন ও মাহাবুর হোসেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণার কাজে উপজেলার কাশিমপুর চারাপাড়া এলাকায় গেলে নৌকা প্রার্থীর লোকজনরা তাদের বাধা দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে স্ত্রীসহ অন্যদের উদ্ধার করার সময় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা করে। এ ছাড়া উপজেলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান করার সময় আনোয়ার হোসেনকে রড ও লাঠি দিয়ে মারপিট করে নৌকার লোকজন। অপরদিকে রাত ৮টার দিকে উপজেলার জিয়ানীপাড়া নামক স্থানে আব্দুল মালেক নামে আমার আরেক কর্মীকে মারপিট করে নৌকার সমর্থকরা।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, আমার কর্মী-সমর্থকরা ট্রাকের কর্মী-সমর্থকদের ওপর কোনো হামলা করেনি। বরং তারাই কাশিমপুর এলাকায় আমার কর্মী-সমর্থকদের মারপিট করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামালা করা হবে।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ জানান, সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মারামারির ঘটনায় বিকেল (মঙ্গলাবর) পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই