নেত্রকোনা পৌর শহরের নিউটাউন এলাকায় নিজ ঘর থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় সত্তরোর্ধ্ব জোসনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হারুন অর রশীদ।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে নিহতের ছোট ছেলে নাজমুল হাসান রুজেল। এদিকে ঘটনার পরপরই পুলিশ নিহতের বড় ছেলের বড় সন্তান সাম্মম হোসেন সিনহাকে তার দুই সহযোগীসহ আটক করে জ্ঞিাসাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. লুৎফর রহমান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে আটক নাতি। সে ঘরে চুরি করতে গেলে দাদী দেখে চিনে ফেলায় বৃদ্ধ দাদীকে প্রথমে ইনজেকশন ও পরে মুখ ও হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে যায় বাইরে থেকে তালা দিয়ে। আটকদেরকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ, স্থানীয়, স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধা জোসনা স্বামীর ভিটায় একটি ঘরে থাকতেন। পাশের আরেকটি ঘরে বড় ছেলে স্ত্রী ও তাদের ছেলে মেয়ে থাকতো। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় ছেলে ওমর ফারুক মিল্টনের স্ত্রী সালমা আক্তার বাবার বাড়িতে যান। এদিকে বড় ছেলেও কাজের জন্য জেলার বাইরে যান। ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে তিনি ভাই ফেরদৌস মোল্লার বাসায় খাওয়া দাওয়া করে দিনভর বসে থেকে রাতে বাড়ি ফিরেন। এরপর দিন তার ছেলে মাকে মোবাইলে না পেয়ে মামাসহ বিভিন্ন জনকে খোঁজ নিতে বলেন। পরের দিন ৮ জানুয়ারি রাতে মামা ফেরদৌস মোল্লা গিয়ে বাইরে তালাবদ্ধ দেখে ঘরের ভেতরে মোবাইল বাজার শব্দে ফাঁক ফোকর দিয়ে খোঁজেন। ঘরের ভেতরে সব অগছালো দেখে তালা ভেঙে দেখেন বোনের মুখ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে।
এদিকে নিহতের মেজো ছেলে তৌফিকুর রহমান রুবেল জানান, তারা তিন ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই অন্য জেলায় থাকেন। বড় ভাই বাড়িতে থাকেন। তার ছোট ভাই রুজেলের একটি গাড়ি বিক্রির প্রায় ১০ লাখের মতো টাকা ঘরে ছিলো। এগুলো নিতেই ভাতিজা তার মাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল