মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ঝিনাইদহ পৌরসভার বাসিন্দারা। বাসাবাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অফিস-আদালতসহ সব জায়গায় মশার উপদ্রব। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করেও মশার হাত থেকে রেহাই মিলছে না।
শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গা নদী, পাড়া-মহল্লার ড্রেনসহ গর্তে জমে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ পৌরবাসীর।
জানা গেছে, শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নবগঙ্গা নদীটি একসময় প্রবাহমান ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের দখল ও দূষণে নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এখানেই শহরের সব ময়লা পানি ড্রেনের মাধ্যমে এসে পড়ে। এছাড়া বিভিন্ন সময় ময়লা-আবর্জনা ফেলে পৌরবাসী। ফলে নদীর পানি থেকে প্রচুর মশা জন্ম নিচ্ছে। আর পৌর কর্তৃপক্ষও নিয়মিত মশা নিধন না করায় বেড়ে গেছে উপদ্রব।
সরেজমিনে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পাড়া-মহল্লাতে ছোট ছোট ডোবা-নালা আছে। এসব ডোবা-নালার ওপর দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা উড়ছে।
পৌরসভার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, দিন কী রাত ঘরে-বাইরে মশার উপদ্রব। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রেখেও মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। এ বছর যেভাবে মশার যন্ত্রণা বেড়েছে এর আগে কখনো এমন দেখা যায়নি। কয়েল, ধোঁয়া কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা শ্রমিক নেতা হারান চক্রবর্তী বলেন, শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ আমাদের প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করা, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। পৌরসভার মশা নিধন কার্যক্রমের অভাবে মশা চরম আকার ধারণ করেছে। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মশা নিধন কার্যক্রম করা হলেও বাকিগুলোতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। রাবেয়া খাতুন নামের এক বাসিন্দা বলেন, শুধু রাতে না, দিনের বেলাও মশারি ব্যবহার করতে হচ্ছে। মশার যন্ত্রণায় নামাজ, ইফতার, সেহেরি কিছুই শান্তিতে করতে পারছি না।
এ ব্যাপারে জানতে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি সরেজমিন তার কার্যালয়ে একাধিকবার গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল