কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের পরান সিকদার পাড়া এলাকার ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি করে বাল্যবিয়ে করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) কুতুবদিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আফরোজা নাজমিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন কৈয়ারবিল ঘিলাছড়ি এলাকার মো. ইদ্রিসের ছেলে মিজানুর রহমান সাগর (২৩), ইউপি মহিলা সদস্য হাসিনা আকতার (৪৫), মৃত আবু ছিদ্দিকের ছেলে মো. ইদ্রিচ (৫৫), কৈয়ারবিল ইউপি সচিব ইমাম মুসলিম (৪৮), পেকুয়া চাঁকমার ডুরী এলাকার ছৈয়দ নুর এর ছেলে আবুল হোছাইন (৪০) ও কাজী ওয়াহিদুর রহমান (৪৫)।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান সাগর (২৩), তার পিতা মো. ইদ্রিচ মিলে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিকুল আজিম নৌরিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন অপহরণ মামলা করায় এ ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে মেয়েটির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত জন্মনিবন্ধন গোপন করে পিতা-মাতার নামের জায়গায় ভুল নাম দিয়ে ভুয়া জন্মনিবন্ধন তৈরী করে দেন কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর ও সচিব ইমাম মুসলিম। পরবর্তীতে ঐ শিক্ষার্থীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী কাজী অফিসে বিবাহ মাধ্যমে কাবিননামা সম্পন্ন করে রাখেন।
এদিকে বাদীপক্ষের এডভোকেট ফিরোজ আহমেদ জানান, অপহরণের পর কৈয়ারবিল এলাকার স্কুল পড়ুয়া তাসফিকুল আজিম নৌরিনকে জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি মাধ্যমে কাবিননামা সম্পন্ন করায় কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বিজ্ঞ আদালত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ট্রিট ফর এফআইআর হিসেবে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল