৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে ঠাকুরগাঁওয়ে দুটি উপজেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচন। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৫ হাজার ভোট পেয় বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার (মোটরসাইকেল প্রতীক)। তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো ৯২ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ আব্দুর রশিদ (টিউবওয়েল প্রতীকে) ১ লক্ষ ৫ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ৭৩ হাজার ১৮৭ ভোট ও জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৪৬ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান মহিরা মাসহুরু বেগম হুরা (কলস প্রতীকে) ১ লক্ষ ৩ হাজার ৮৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েনে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রিয়া আগরওয়ালা পেয়েছেন ১ লক্ষ ৩ হাজার ২৩৮ ভোট।
অপরিদকে রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪৪ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ হোসেন বিপ্লব ( ঘোড়া প্রতীক)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাণীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সইদুল হক পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৮০ ভোট ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল কাদের ৩২ হাজার ২৩৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ সোহেল রানা (টিউবওয়েল প্রতীকে) ৩৩ হাজার ১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার (হাঁস প্রতীকে) ৩২ হাজার ৭৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েনে
মঙ্গলবার রাতে নিজ নিজ উপজেলায় সহকারি রিটার্নিং অফিসাররা ফলাফল ঘোষণা করেছেন।এরআগে ঠাকুরগাঁও সদর ও রাণীশংকৈল উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহন।
জেলা রিটানিং অফিসের দেয়া তথ্য মতে, দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান ৪ জন প্রার্থী ও ভাইস চেয়ারম্যান ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এদিকে রাণীশংকৈল উপজেলায় চেয়ারম্যান ৩ জন প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সদর উপজেলায় ভোটার ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৭৫ জন ও রাণীশংকৈল উপজেলায় ভোটার ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩৯১ জন। সদর উপজেলায় কেন্দ্র রয়েছে ১৮৫ টি ও রাণীশংকৈল-৬৬টি।
এছাড়া ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ৩১ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ হাজার পুলিশ কাজ করছেন। এছাড়াও বিজিবি আনসার সদস্যরাও কাজ করছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম