নেত্রকোনার মদন উপজেলার একটি স্কুল মাঠে কিশোরদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মাঝে সৃষ্ট সংঘর্ষে চার পুলিশসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনঅ মামলা বা অভিযোগ করেনি কেউ। আটকও হয়নি কেউ।
আহতদের মধ্যে এক পুলিশসহ মোট চারজনকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকিরা বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। শুক্রবার (৩১ মে) রাতে মদন নেত্রকোনা সড়কের মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়েনের জয়পাশা ও কেশজানি গ্রামের সীমানায় এ ঘটনা ঘটে।
মদন থানার ওসির দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, কেশজানি স্কুলমাঠে শুক্রবার বিকালে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। এসময় জয়পাশা গ্রামের কিশোরদের বাদ দিলে এ নিয়ে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে জয়পাশা গ্রামের এক কিশোরের হাতে মোচর দেয় কেশজানি গ্রামের কিশোররা। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে রাতে সড়কের উপর দুই গ্রামবাসী ঢিল ইটপাটকেলসহ লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে এসময় আমাদের চার পুলিশ সদস্যসহ দুই গ্রামেরই প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের মতো আহত হয়। তবে এ ঘটনায় কেউই কোনও অভিযোগ করেনি। যে কারণে কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, বরাবরের মতো নেত্রকোনার মদনে কিশোরদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুই গ্রামের মানুষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘণ্টাব্যাপী ইট পাটকেল ছুড়ে এক গ্রামের মানুষ অন্য গ্রামের উপর। এতে আহত হয়ে ৯ জনের মতো ভর্তি হয় মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আলী আজগর পনির ও এএসআই সামিউল ইসলাম নামে দুইজন গুরুতর আহত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ