উত্তরের বাণিজ্যিক শহর নীলফামারীর সৈয়দপুর। তীব্র যানজট ও জটলা সবসময় লেগেই থাকে। এ অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশ কর্মবিরতি পালন করায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ যানজট ও চলাচলে বিশৃংখলা। কিন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেই যানজট সামলে নিয়ে পুরো শহরটি শৃঙ্খলায় নিয়ে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) সৈয়দপুর থানা শহরের কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন আনসার সদস্যরা। নতুন অভিজ্ঞতা হলেও ফুরফুরে মেজাজে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। দেশের ক্রান্তিলগ্নে তারাও অবদান রাখছেন। বসে ছিল না শিক্ষার্থীরাও। তারা পুরো শহরটা পরিষ্কারে নেমেছে। তারা ইটপাটকেল সরাচ্ছেন, দেওয়াল পরিষ্কার করছেন, পোড়া গাড়ি সরিয়ে মানুষের চলাচলের পথ করে দিয়েছেন।
শহরের পাঁচ মাথা মোড়, শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, মদিনা মোড় নানা স্থানে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন। মুখে বাঁশি ও সহপাঠিদের সাথে হাত মিলিয়ে তারা দায়িত্ব পালন করছেন নিষ্ঠার সাথে।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, সৈয়দপুরের ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় এমন বিশৃন্খলা হয়েছিলো। যার ফলে ২ মিনিটের রাস্তা ১৫ মিনিটে পার করতে হতো। স্টুডেন্টরা রাস্তা ক্লিয়ার না করলে ভায়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হত। সুশৃঙ্খল করার দায়িত্ব তো কেবল ছাত্রসমাজের না বরং আমাদের সবার। তাই সবাই নিজ দায়িত্বে নিজের দেশ রক্ষা করুন একজন আরেকজনকে ওভারটেক না করে সুন্দর মতো লাইন মেনে চলুন, এবারের স্লোগান হোক- আমরাই দেখবো আমাদের।
সৈয়দপুর ইউনাইটেড ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (সুভা) সভাপতি হাফিজ উদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীরা যানজট নিরসনে যে কাজ করছেন তা প্রশংসনীয়। প্রয়োজনে আমার সংগঠনের সদস্যদের মাঠে নামানো হবে। আমার এই সংগঠনের প্রায় ২৩টি সংগঠনের সাড়ে ৪০০ সদস্য রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ