অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ছয় মাস এবং এ সরকারের কেউ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেনা। গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যার বিচার করতে হবে। গত ১৬ বছরে সংঘটিত সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যা, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে এবং এক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তি বা সংগঠন দোষীসাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
শুক্রবার বিকালে কিশোরগঞ্জে আয়োজিত এক সমাবেশে ইসলামি আন্দোলন এ সকল দাবিসহ ৯ দফা দাবি উত্থাপন করে।
শহরের ইসলামিয়া সুপার মার্কেট চত্ত্বরে আয়োজিত সমাবেশে দলটির জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা প্রভাষক আলমগীর হোসাইন তালুকদার সভাপতির বক্তব্যে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সকল দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে টাকা পাচারকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা এবং পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ, গত ১৬ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সম্পদের হিসাব নেওয়া এবং দুর্নীতি ও টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। আইন, সংবিধান ও শপথ লঙ্ঘনকারীদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা এবং অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করা, দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ও উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চিন্তা চেতনা ও অনুভূতির বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত না নেয়াসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়।
সভায় ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের জানমাল রক্ষায় জাতির পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহবান জানানো হয়।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রোকন উদ্দিন, সহ সভাপতি মাওলানা এবিএম এমদাদুল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মোস্তফা কামাল, দফতর সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মাওলানা ইমদাদুল্লাহ মাহবুব, আবু হানিফ, সেলিম হায়দার, মাওলানা মাহমুদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নূর আহমদ, জেলা ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুসা খাঁন, রবিউল ইসলাম শাহিন, ত্বয়াসিন বিন মুজিব প্রমুখ। সভায় ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন মাওলানা মাহমুদুর রহমান এবং কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা দেলোয়ার।
বিডি প্রতিদিন/এএ