শিরোনাম
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
- ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন
- যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
- এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী
- ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশনা
- ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা-পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে’
- ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধ ও কিশোরের
- এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
- নরসিংদীতে ভূমিকম্পে বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক আহত
- চাটমোহরে রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
- ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক
- সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া
- গাইবান্ধা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর
- ৩০ নভেম্বর থেকে ফের কর্মবিরতির ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের
- ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
- মেট্রোরেলের ট্র্যাক থেকে অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার
- ‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
- ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক
- ভূমিকম্পে বংশালে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে
অরক্ষিত খলিফা সাম্রাজ্য
আখাউড়ায় নিরুদ্দেশ পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর নিরুদ্দেশ হয়েছেন আখাউড়ার পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল।
এরপরই আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের রাধানগরের সাততলা বাড়িতে হামলা করে। বিক্ষুব্ধরা তার বাড়ি ভাঙচুর, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করে। তার বাড়ি থেকে দেশী-বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। হামলার সময় বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যান মেয়র।
সদ্য সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত তাকজিল খলিফা কাজল পর পর তিনবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় তিনি এলাকায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেন। দলীয় রাজনীতিতে বিভাজন, প্রতিপক্ষের রাজনীতিবিদদের শক্ত হাতে দমন, মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষের রাজনীতিবিদদেরকে হয়রানি করা, উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ, দলীয় প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
বদলি বাণিজ্য, চাকরির তদবির ও স্থলবন্দরের ব্যবসায় প্রভাব খাটিয়ে তাকজিল খলিফা কাজল অর্জন করেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। গত ৫ আগষ্ট বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে ব্যাপক হামলা ভাংচুর ও লুটতরাজ করে। তাকজিল খলিফা কাজল নিরুদ্দেশ হওয়ার পর অরক্ষিত হয়ে পড়ে খলিফা সাম্রাজ্য। পৌর এলাকার রাধানগরের তার চারটি বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ এখন অরক্ষিত।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, গত ১৫ বছর তাকজিল খলিফা কাজলের কারণে তারা কোন দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেননি। মেয়র বিভিন্নভাবে তাদেরকে হুমকি-ধামকি দিতো। গত ৫ আগস্ট মেয়রের রাধানগরের সাততলা বাড়িতে হামলা করে বিক্ষুব্ধরা। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের উপর মেয়র যে অত্যাচার চালিয়েছেন এরই প্রতিফলন এটা। তবে হামলার পর যে লুটতরাজ হয়েছে সেটি আরেকটি পক্ষের কাজ।
তাকজিল খলিফা কাজল ২০১২ সালে উপ-নির্বাচনে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় মেয়র হয়ে তিনি এলাকায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেন।
এসব বিষয়ে জানতে মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
এই বিভাগের আরও খবর