রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২২২ জন নেতাকমীর নাম উল্লেখ করে পৃথক দুইটি মামালা দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. নাজমুল শেখ বাদি হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম ফরিদ হোসেন মিয়া বাবু, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাসেল খান রিজুসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় ২০২৩ সালের ১৯ জুন ১১টায় বালিয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফরিদ হাসান আশিকের সামনে ছাত্রদলের আনন্দ শোভাযাত্রায় হামালায় অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর শেখ বলেন, মামলাটি থানায় রেকর্ডভুক্ত করে বালিয়াকান্দি থানার উপ-পরিদর্শক মো. রাজিবুল ইসলামকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী মো. রাজিব মোল্লা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয় ১৮ জুলাই বিকাল ৩টার কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষকরা রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় ৩ টা ৪০ মিনিটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ তোলা হয়।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মামলাটি থানায় রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। মামলাটি সদর থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ তদন্ত করবেন।
মামলার আসামি নুরুজ্জামান মিয়া সোহেল নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল