সারা দেশে সব চিকিৎসা কেন্দ্রে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণার প্রভাব পড়েছে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও (শজিমেক) হাসপতালে। অনেক ইন্টার্ন চিকিৎসক তাদের কর্মবিরতি কর্মসূচি চালিয়ে যায়।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, চিকিৎসাসেবা প্রদানে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাহত হয়নি। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের আটক ও শাস্তি নিশ্চিত, সারা দেশে চিকিৎসক ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ দুই দফা দাবি এবং এসব দাবি পূরণ না হওয়ায় সারা দেশে সব চিকিৎসাকেন্দ্রে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এরই ধারাবাহিকতায় কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির প্রভাব পড়েছে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও (শজিমেক) হাসপতালে।
রবিবার দুপুর ২টার পর শজিমেকে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসককে দেখা যায়নি। হাসপাতালের ১৮টি ওয়ার্ডে ওই সময়ের আগ পর্যন্ত দেড়শ’ ইন্টার্ন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করলেও পরে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসককে হাসপাতালের কোনো ওয়ার্ডে রোগীর সেবা দিতে লক্ষ করা যায়নি। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালে না থাকলেও অন্যান্য ডাক্তার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের স্বাভাবকি কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি কম। চিকিৎসা কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেছেন, কমপ্লিট শাটডাউন থেকে সরে এসেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ ইনডোরের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ চালু থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই