চরফ্যাশন (বেতুয়া)-ঢাকা রুটে লঞ্চ মালিকদের অবৈধভাবে করা রোটেশনের কারনে জিম্মি যাত্রীরা। রোটেশন প্রথায় যাত্রী ব্যবসায়ী ও ঘাট শ্রমিকরা সেবা থেকে বঞ্চিত। চরফ্যাশন-বেতুয়া ঢাকা নৌ-রুটে পুর্বে প্রতিযোগিতামূলকভাবে তিন-চারটি কোম্পানির লঞ্চ নিয়মিত যাতায়াত করতো। রোটেশন করার পরে একই মালিকের ২/১ টি চলাচল করছে। ফলে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। নির্ধারিত ভাড়া না দিলে অসদাচরণ করেছে।
মালিকদের সিন্ডিকেটের কারনে বেতুয়া ঘাটে বিমুখ যাত্রীরা।বিকল্প ঘোষেহাট, লালমোহন, ভোলা লঞ্চ ঘাট থেকে ঢাকায় যাতায়াত করছে অধিকাংশ যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা এই রুটে প্রত্যেক কোম্পানির একটি করে লঞ্চ চরফ্যাশন-(বেতুয়া) ঢাকা রুটে নিয়মিত চলাচল করবে।
রোটেশনের আগে তিনটি কোম্পানির এমভি কর্ণফুলী, এমভি তাসরিফ, এমভি ফারহান ও এমভি টিপু ৩/৪টি লঞ্চ বেতুয়া-ঢাকা নিয়মিত চলাচল করতো। রোটেশন করায় ১ বছর যাবত একই মালিকের ১/২ লঞ্চ চলাচল করছে। ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
বৈষম্য বরোধী আন্দোলন স্থানীয় সমন্বয়কদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে লঞ্চ মালিকরা আলোচনা করে চলমান রোটেশন প্রথা বিলুপ্ত করে জনসাধারণের ভোগান্তি দূর না করলে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে প্রয়োজনে আন্দোলন হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই রুটের জনৈক লঞ্চ মালিক বলেন, পদ্মাসেতু ও ভোলা থেকে ডে লঞ্চ সার্ভিসের কারণে অধিকাংশ সময় লোকসান শুনতে হচ্ছে। লাভের আশায় এই প্রথা চালু করে। তার দাবি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বেতুয়া লঞ্চঘাটে জরিপ করে রোটেশনের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছে।
এ ব্যাপারে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি আকতারুল আলম সামু বলেন, রোটেশন করায় মালিকদের কাছে জিম্মি সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। রোটেশনের পক্ষে নেয়া প্রতিবেদন জনস্বার্থ পরিপন্থী।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান বলেন, লঞ্চ মালিকরা একত্রিত হয়ে রোটেশন করায় সেবা বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। ছাত্র- জনতার হুশিয়ারি রোটেশন বাতিল না করলে যেকোন সময় তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন,জনগনকে জিম্মি করে রোটেশন ব্যবস্থা বিলুপ্ত করতে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত সমাধানের চেস্টা করবো।
বিডি প্রতিদিন/এএ