নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয়পক্ষের প্রায় ৮ থেকে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে হঠাৎ করে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে শোনা যায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। তাদের সংঘর্ষে এলাকার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ সংঘর্ষে প্রায় ৮ থেকে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন বলেন, ফতুলা থানা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুরের বাড়িতে নারী নির্যাতন বিষয়ে একটি সালিশে বসেছিলাম। তখন অতর্কিতভাবে মজিবুর, তার ভাই শাহজাহান, জুয়েল, তাদের ভাতিজা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি হিমেলসহ অন্তত ২০ থেকে ৩০ জন আমাকে আটকে মারধর করতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, তখন এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাইলে তারা আমাকে উদ্ধার করে। এরপর থানায় ফোন করলে পুলিশ আসে। তখন পুলিশ দেখে তারা পালিয়ে যায়।
তবে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মজিবুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতা শাহিন দলবল নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তখন মসজিদের মাইক দিয়ে মাইকিং করলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই