বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, দেশের আকাশে শকুনের নজর রয়েছে। এখনই আত্মতৃপ্তিতে ভোগার সুযোগ নেই। দেশের মানুষকে হয়তো এখনো অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমরা সবাই সেই ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত আছি।
শুক্রবার খুলনার ডুমুরিয়ায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিরতণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে। কেউ কাউকে বাঁধা দেবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটি হিংসা ও বিদ্বেষমুক্ত সমাজ গঠন করতে চাই।
শরাফপুর ইউনিয়নে বানিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আমির মাওলানা মোক্তার হোসেন।
জানা যায়, ডুমুরিয়ায় ভদ্রা নদীর ভাঙনে ২৯ নম্বর পোল্ডারে চাঁদগড়, জালিয়াখালী ও শম্ভুনগর গ্রাম মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। নদীতে বিলীন হয়েছে স্কুল, মসজিদ, মন্দির, ঘরবাড়ি, গাছপালা।
সংগঠনের উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, আশরাফুল আলম, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি হাফেজ বেলাল হুসাইন রিয়াদ, ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সিরাজুল ইসলাম।
মিয়া গোলাম পরওয়ার স্থানীয় চাঁদগড়, জালিয়াখালী ও শম্ভুনগর গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, চাল, ডাল ও আলুসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই