ফরিদপুরের সালথায় শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আরিফা বেগম (২১) নামের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী। এসময় তার পেটে কয়েক দফা লাথিও মারা হয়। এতে রক্তক্ষরণ হলে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। পরে মৃত সন্তান প্রসব করেন ওই নারী।
শুক্রবার সকালে ওই নারীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আরিফা বেগম গোপালিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মাতুব্বরের মেয়ে ও একই উপজেলার বাহিরদিয়া গ্রামের শওকত মোল্যার স্ত্রী।
ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি পক্ষের লোকজনের হামলায় ইয়ার আলী (৫২) নামের এক মুদি দোকানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ সেপ্টেম্বর মারা যান। এরপর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে মাঝে মধ্যেই ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে অন্তঃসত্ত্বা আরিফা বেগমের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। একপর্যায়ে বাধা দিলে আরিফার গলা টিপে ধরা হয় এবং পেটে কয়েকদফা লাথি মারা হয়। এতে প্রথমে রক্তক্ষরণ ও পরে মৃত বাচ্চা প্রসব করেন আরিফা। তারপরও রাতে আরিফাকে হাসপাতালে নিতে দেননি প্রতিপক্ষের লোকজন। শুক্রবার সকালে পাশের গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত পক্ষের গ্রাম্যনেতা আইয়ুব মাতুব্বর। তিনি বলেন, ‘ওই নারীকে কোনো প্রকার মারধর বা নির্যাতন করা হয়নি। এরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের পক্ষের লোকজনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ওই নারীর এমনিতেই গর্ভপাত হয়েছে।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল