স্বাভাবিক হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতে বাড়ছে পর্যটকের আনাগোনা। শুক্রবার সকাল থেকে শেষ বিকাল পর্যন্ত কেউ সমুদ্রে সাতার কাটছেন, কেউ ঘোড়ায় চরে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে, কেউ সৈকতে হইহুল্লোরে মেতে উঠেছেন, কেউবা আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
এছাড়া রাখাইনদের শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের ঐতিহাসিক কুপ, আরাকান রাজ্য থেকে আড়াইশ বছর আগে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কুয়াকাটায় আসা সেই পালতোলা নৌকা ভিড় করে দেখছেন আগত পর্যটকরা। রাখাইন মার্কেট, তিন নদীর মোহনা, লেবুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবন ও গঙ্গামতিসহ সকল পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। পর্যটকদের ভিড়ে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতষ্ঠানগুলোতে। তবে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় সৈকতসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ।
খাবার হোটেল ব্যবসায়ী মো. রুহুল আমীন বলেন, এখন কুয়াকাটায় পর্যটকের আগমণ বেড়েছে। সে কারণে আমাদের খাবার হোটেলেও বেচাবিক্রি বেড়েছে। বিগত দিনের ব্যবসায়িক লোকসান কাটিয়ে ওঠার একটা সুযোগ সৃস্টি হয়েছে।
কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব শরীফ বলেন, বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তাই দেশের ভ্রমণপিপাষূ মানুষের আগমন বেড়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ এর পুলিশ সুপার মো. আনছার উদ্দিন বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে বর্ষা মৌসুমেও কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের আগমণ বেড়েছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় জোয়ারের সময় পর্যটকদের সাবধানে গোসল করা এবং সাঁতার না জানা পর্যটকদের উত্তাল সমুদ্রে গোসলে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল