বৈরী আবহাওয়ায় ঝড়ো বাতাস ও প্রবল বৃষ্টির কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে সাতটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে হাতিয়া উপজেলা কর্মকর্তা ও ট্রলার মালিকরা জানান।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো- জানু মাঝির, দেলোয়ার মাঝির, হেলাল মাঝির ও বাবর মাঝির।
এদিকে প্রবল বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর সাথে হাতিয়ার যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।শুক্রবার বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বুড়ির দোনা ঘাট এলাকার মেঘনা নদীতে এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এ ঘটনায় ৩০জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক নিখোঁজ জেলেদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা আরও জানান, সাগর উত্তাল থাকায় বিকালের দিকে মাছ ধরার ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরতে শুরু করে। যাত্রাপথে ট্রলারগুলো মেঘনা নদীর বুড়ির দোনা এলাকায় পৌঁছলে বৈরী আবহাওয়ায় ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে পর্যায়ক্রমে সাতটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। পরে পাশে থাকা মাছ ধরার অন্য ট্রলারগুলো কিছু জেলেকে উদ্ধার করে। তবে জেলেদের মাছ ধরার জাল ট্রলার নদীতে তলিয়ে যায়। এছাড়া মেঘনা নদীতে আরও কয়েকটি ট্রলার রয়েছে। সেগুলোর এখনও কোনও খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় দেলোয়ার মাঝি গুরুতর আহত হয় বলে জানা যায়।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চাকমা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সাতটি টলার ডুবেছে। এ সময় ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এখনও ৩০ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে l
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ জানান, মাছ ধরার ট্রলার ডুবির বিষয়টি শুনেছি।
বিডি প্রতিদিন/একেএ