১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:৪২

ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র নদী ভাঙন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র নদী ভাঙন

নদী ভাঙন রোধে সরকারি কোন উদ্যোগ না থাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন নদী উপকূলবর্তী এলাকার গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ, তারা অনেকবার সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করলেও কোন সাড়া পাননি। এ অবস্থায় নিজেদের চাঁদার টাকায় প্লাস্টিকের বস্তা ক্রয় করে তাতে বালু ভরে স্বেচ্ছাশ্রমে নদীভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন। এ অবস্থা ঘটেছে জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদের শাখা কালজানি নদী পাড়ের বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরছেন বালু, কেউ ফেলছেন নদীর পাড়ে। এভাবে ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষার চেষ্টা করছেন এলাকার নদী ভাঙন কবলিত মানুষেরা। গত ৪ মাস ধরে দুধকুমার নদের অব্যাহত ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছেন অনেকেই। কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে চলছে এ অবস্থা। এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে তিন শতাধিক ঘরবাড়িসহ একরের পর একর ফসলি জমি। এ অবস্থায় ভাঙন কবলিতরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণসহ স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডে বহুবার যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ তাদের। পরে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে নিজেদের অর্থ দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে নদী ভাঙন রোধ করে সম্পদ রক্ষার চেষ্টা তাদের।

স্থানীয়দের দাবি, তাদের এ চেষ্টার পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামান্য সহযোগিতা পেলে বন্ধ হবে তীব্র এ নদীভাঙন। আর এতেই রক্ষা পাবে ফসিল জমিসহ ঘর বাড়ি। উপজেলার তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম ফরিদুল হক বলেন, এই এলাকার দুধকুমার নদ গত ২-৩ মাস ধরে অব্যাহতভাবে ভাঙছে। প্রায় ৩শ উপর বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কয়েক শত হেক্টর জমির ফসল নদীতে চলে গেছে। 

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান শিলখুড়ি এলাকায় দুধকুমারের ভাঙনসহ অন্যন্য নদ নদীতেও ভাঙনের কথা স্বীকার করে বলেন, বরাদ্দ কিংবা অনুমতি না থাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পারছি না। পরবর্তীতে বরাদ্দ সাপেক্ষে কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।

বিডি-প্রতিদিন/শআ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর