উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করা শিক্ষার্থীদের পাস করাতে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের প্রথান ফটকে তালা ঝুলিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নিজামুল করিমকে। রবিবার কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অন্তর্গত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেয়। এসময় তারা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটক ও চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের ভবনের ফটক আটকে দেয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফলে অকৃতকার্যরা সকাল থেকে বোর্ডে ঢুকে পড়ে। বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নিজামুল করিম শিক্ষার্থীদের দেয়া লিখিত অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন বলে জানিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের আশ্বাস দেন। তারা সেই আশ্বাস মেনে ফটকে আসলে নিচে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেয়নি। তারা আজই এখনই সবার পাসের ফল পেতে চান বলে জানিয়ে দেন। সন্ধ্যায় এই প্রেিতবেদন লেখার সময় শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে অবস্থান করছেন। এদিকে শিক্ষার্থীরা ফটক আটকে রাখায় বিপাকে পড়েন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের সোনালী ব্যাংক শাখা ও বোর্ডের বিভিন্ন সেবা নিতে আসা গ্রহীতারা।
সেবা নিতে আসা এক শিক্ষক বলেন, দাবি জানালে নিয়মের মধ্যে জানাবে। বোর্ড তা দেখবে। কিন্তু এভাবে ফটক আটকে শিক্ষকদের সাথে উগ্র আচরণ করে দাবি আদায় করা অযৌক্তিক।
শিক্ষার্থী আলামিন হোসেন বলেন, অনেকে ৭টা সৃজনশীল লিখে পাইছে ৩। আমি ফেল করার ছাত্র না। তাও ফেল দিয়েছে। এটা বৈষম্য। আমাদের বলা হচ্ছে আবার ফলের জন্য আবেদন করতে। আমরা কেন ১৫০ টাকা খরচ করবো। আমরা আজই ফল চাই।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা তাদের বলেছি ফল পুন:নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে। আমরা তাদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানাব। কিন্তু তারা তা না শুনেই ফটকের সামনে বসে আছে। তারা আজই সবাই ফল চায়। সবাই পাস চায়।
বিডি প্রতিদিন/এএম