ডিমের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় যশোরের জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে বড় দুই ডিম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ও পাইকার ব্যবসায়ীদের এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
সোমবার বেলা একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব জরিমানা আদায় করা হয়। টাস্কফোর্স প্রথমে শহরের বাজারগুলোতে গিয়ে সরকার নির্ধারিত খুচরা মূল্যের চেয়েও বেশি মূল্যে ডিম বিক্রির প্রমাণ পান। খুচরা বিক্রেতারা পাইকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি মূল্যে ডিম কিনছেন বলে অভিযোগ করলে শহরের বড় বাজারে ডিমের দুই পাইকার ব্যবসায়ীর দোকানে অভিযান চালায় টাস্কফোর্স। সেখানে বেশি দামে ডিম বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় একজনকে ৫ হাজার এবং আরেকজনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাইকার বিক্রেতাদের অভিযোগ অনুযায়ী টাস্কফোর্স সদস্যরা পরে যশোরের দুই বড় ডিম উৎপাদকের বিপণন কেন্দ্রে অভিযান চালান।
শহরের চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড়ে আফিল এগ্রোর ডিম বিপণন কেন্দ্রে অভিযান চালানোর সময় টাস্কফোর্স সদস্যরা দেখতে পান, উৎপাদক হয়েও সেখানে খুচরা মূল্যে ডিম বিক্রি করা হচ্ছে। এজন্য আফিল এগ্রোকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আফিল এগ্রোর মালিক যশোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আফিল উদ্দীন। এর আগে শহরের আরবপুর মোড়ে চাঁদ এগ্রোর বিপণন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই চাঁদ এগ্রোর মালিক যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রেন্টু চাকলাদার।
অভিযানের শেষ দিকে জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যশোরের উৎপাদকরা নিজেরাই পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা হিসেবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। একইসাথে উৎপাদক হিসেবে সরকার নির্ধারিত ১০ টাকা ৩৮ পয়সা দরে ডিম বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদেরকে। নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
অভিযান চলাকালে জেলা প্রশাসকের সাথে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শাহীনসহ জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যরা ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল