ধানক্ষেতে কৃষকদের ফাঁদ জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি মাদি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী বাঁতকুচি গ্রামের রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে ওই মৃত হাতিটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে মাটিতে পুঁতে রেখেছে বন বিভাগ।
বন বিভাগের কর্মীরা রাতেই ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটরটি জব্দ করেছেন। এই ঘটনায় ওই এলাকার কৃষক শহিদুল ইসলামকে (৪০) আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক ও মধুটিলা ফরেষ্ট রেঞ্জের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেনারেটর স্থাপন করে বন্যহাতি হত্যার অভিযোগে শহিদুল ইসলামকে আটক ও আরো অজ্ঞাত ১০-১২ জনের নামে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, গত এক দশকে শুধু গারো পাহাড়ে বন্যহাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। মানুষের হামলাসহ নানা কারণে ৩০টি হাতি মারা গেছে। এ নিয়ে ৩১ টি হাতির মৃত্যু হলো। বেশির ভাগ হাতির মৃত্যু হয়েছে বৈদ্যুতিক ফাঁদে, নয়তো ধারালো অস্ত্রের আঘাতে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের সহকারী বনসংরক্ষক মো. সাদেকুল ইসলাম খান বলেন, বন্যহাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে সরেজমিন পদির্শন করে জেনারেটর স্থাপন করে বন্যহাতি হত্যা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে শহিদুল ইসলাম নামে একজনকে আটক ও একটি জেনারেটর জব্দ করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত সন্দেহে আরো ১০-১২ জনের নামে বন্যপ্রানী সংরক্ষণ আইনে শেরপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি অরো জানান, আমরা বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারীভাবে ক্ষতিপুরণ দিচ্ছি। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কোনক্রমেই বন্যহাতিকে হত্যা করা যাবে না।
বিডি প্রতিদিন/আশিক