বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সময় বগুড়ায় নিহতদের নাম-ঠিকানাসংবলিত ‘স্মৃতিফলক’ উন্মোচন করেছে জাস্টিস ফর জুলাই পরিষদ।
শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা মুক্ত মঞ্চের পাশে এই স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়। স্মৃতিফলকে প্রাথমিকভাবে ১৯ জন শহীদের নাম স্থান পেয়েছে। ভবিষ্যতে যাচাই-বাছাই করে আরো নাম যুক্ত করা হবে।
১৯ জনের তালিকায় শিশুই চারজন। সব থেকে ছোট রাতুলের বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। বাকি তিনজনের বয়স আরেকটু বেশি। অথচ জীবনের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে তাদের পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে জীবনের শুরুতেই। অন্যদিকে জীবন সায়াহ্নে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৭০ বছরের আব্দুল মান্নান।
স্মৃতিফলকে স্থান পাওয়া ১৯ শহীদ হলেন, বগুড়া সদরের কমর উদ্দীন বাঙ্গী (২১), সিয়াম শুভ (১৬), আব্দুল মান্নান (৭০), শিমুল মণ্ডল (৪৫), মাহফুজার রহমান (৩০), জুনাইদ ইসলাম রাতুল (১২), রিপন ফকির (৩৬), শিবগঞ্জের রনি মিয়া (২৮) ও সেলিম হোসেন (৩৫), দুপচাঁচিয়ার আবু রায়হান (২৯), কাহালুর মনিরুল ইসলাম (২৩), গাবতলীর জিল্লুর সর্দার (৪৫), সাকিল হাসান মানিক (২৩), সাব্বির হাসান (১৪), নন্দীগ্রামের সোহেল রানা (৩০), সোনাতলার আবদুল আহাদ সৈকত (১৬), সারিয়াকান্দির রহমত মিয়া ধলা (২১), দিনাজপুরের হিলির মো. সেলিম (৪৫) এবং বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে অজ্ঞাত একজন।
জাস্টিস ফর জুলাই সংগঠনের সদস্য সচিব এ এম জেড শাহরিয়ার বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নাম সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছি। নতুন নাম পেলেই ফলকে অন্তর্ভুক্ত করব।
তিনি আরও বলেন, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ক্ষমতাচ্যুত হাসিনাসহ সব অপরাধীর বিচার দ্রুত করতে হবে। অবিলম্বে হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন