ঢাকার ধামরাইয়ে রুটি বানানোর আটার মধ্যে মুরগিতে পা দেয়ায় কারণে স্বামী-সন্তানের সামনেই কুলসুম আক্তার (৩০) নামে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আমিনা খাতুন (৬০) নামে নিহতের নানি শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর অভিযুক্ত শ্বশুর ও শাশুড়ি ও এক ভাতিজি পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। নিহত কুলসুম আক্তার ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার ইয়ার হোসেনের স্ত্রী। তিনি পাঁচ বছরের এক ছেলে সন্তানের মা ও চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গ্রেফতার আমিনা খাতুন ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের বান্নাখোলা এলাকার বাসিন্দা।
নিহতের স্বামী ইয়ার হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীর পালিত একটি মুরগি রান্না ঘরে গিয়ে আমার মায়ের আটা নষ্ট করার কারণে আমার সামনেই আমার মা-বাবা, নানি ও ভাতিজি মিলে কুলসুমকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ হত্যা করেছে। আমি থামাতে গেলে আমাকেও পিটিয়েছে।
খবর পেয়ে ধামরাই থানার এসআই আজাহারুল ইসলাম গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলেহের জেরে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনের নামে মামলা হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ