দেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বেড়েছে আলু আমদানি। প্রতিদিন ৩০-৩৫ ট্রাক আলু আমদানি হলেও বৃহস্পতিবার একদিনেই ৭১ ট্রাকে ১৮১৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে।
ফলে শুক্রবার হিলি বাজারে আমদানি বাড়ায় কেজিতে দুই থেকে তিনি টাকা দাম কমেছে। কিন্তু আলু আমদানি যেভাবে হচ্ছে দাম সেভাবে কমছে না। এ বিষয়ে জোরালো বাজার মনিটরিং এর কথা বললেন ক্রেতারা।
এদিকে, হিলি বাজারে শুক্রবার দেখা যায়, কাটিনাল ৫০, সাটল আলু ৫৫, বিলেতি ৬৫, গ্যানোলা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা গত দুদিন আগের চেয়ে কিছুটা কম।
হিলি স্থলবন্দর সূত্র জানায়, আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আলু আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণ শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। ফলে স্থলবন্দর দিয়ে ডায়মন্ড ও কাটিনাল আলু আমদানি হচ্ছে।
আমদানিকারকরা বলেন, দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকারকরা ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ আলু আমদানি করছে। ফলে দেশে আলুর দাম কমছে। শুক্রবার স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে তাই বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে বৃহস্পতিবার রেকর্ড পরিমাণ আলু আমদানি হয়েছে। আলুর আমদানি বাড়লে দাম আরও কমবে।
আলু ব্যবসায়ী আলমসহ কয়েকজন বলেন, গত সপ্তাহের সোমবার বন্দরে প্রতিকেজি আলু ৪৮-৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। মঙ্গল ও বুধবার সেই আলু বিক্রি হয় ৫৭-৫৮টাকায়। তবে বৃহস্পতিবার রেকর্ড পরিমাণ আলু আমদানি হওয়ায় শুক্রবার সকালে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। দাম উঠানামা করায় আলু কিনতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা এ বন্দর থেকে আলু কিনে দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠাই। দাম যত কম হবে তত ভালো বললেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমদানিকারকরা যাতে আলু আমদানি করে দ্রুত বাজারজাত করতে পারে সেজন্য কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে ব্যবসায়ীদের সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল