মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা লক্ষ্মীকান্ত হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর বিদ্যালয়ের মাঠে ১৯টি স্টলে ফল ও পিঠার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। কলমা লক্ষ্মীকান্ত হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠাপুলির উৎসবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
উৎসবে গিয়ে ছাত্রদের স্টলগুলো সাজানো দেখা যায়। ছিল বাহারি সব জিনিস আর বাড়ি থেকে তৈরি করে আনা শতাধিক ধরনের পিঠা। অভিভাবকসহ আগত সব দর্শণার্থীর কাছে এসব ফলের গুণাগুণ ও পিঠার ইতিহাস বর্ণনা করেন শিক্ষার্থীরা। পৌষের বিদায় আর মাঘের শুরুতে আবহমান বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল পিঠা, ইলিশ পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠাসহ আরও কত পিঠা। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকালে সাংস্কৃতিক পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয় উৎসব।
কলমা লক্ষ্মীকান্ত হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহানা আখতারের সভাপতিত্বে উৎসব সফল করতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কলমা ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি আলহাজ কে.এম. রিয়াজুল ইসলাম তুহিন, সাধারণ সম্পাদক বাদল পাঠান, কলমা লক্ষ্মীকান্ত হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক লিয়াকত হোসেন, মো. তোহা মিয়া আখন, পরিমল চন্দ্র ঢালি, জাহানজীব সারোয়ার, রেজুনা খাতুন, নাসরিন সুলতানা, মোহাম্মদ তোয়াহা, দিলীপ কুমার গোস্বামী। কলেজ শাখার প্রভাষক মো. শামসুল আলম, খুশিলাল রায়, মো. ফরহাদ মিয়া, জহিরুল ইসলাম, সুরাইয়া ইয়াসমিন, নুসরাত।
আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষক জুরান রায়, মুহাম্মদ শাহীন মিঞা, অনিতা রানি ঘোষ, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আবুসালেহ, কিরণ চন্দ্র শিকারি, এনায়েত করিম, ফারিন আক্তার, আয়েশা আক্তার প্রমুখ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল