গাইবান্ধা পৌর শহরের কুটিপাড়া এলাকায় অনুমোদনহীন শিশুখাদ্য উৎপাদনকারী তিনটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে যৌথবাহিনী। এসময় বিপুল পরিমাণ ভেজাল শিশু খাদ্যদ্রব্য ও তৈরির উপকরণ জব্দসহ ৫ জনকে আটক ও ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চলে।
যৌথবাহিনী সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাইবান্ধা পৌর এলাকার কুঠিপাড়ায় ৩টি অনুমোদনহীন শিশুখাদ্য তৈরির কারখানায় অভিযান গাইবান্ধা অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা ও সদর থানা পুলিশ। বিপুর পরিমান ভেজাল খাদ্যদ্রব্য পাওয়ায় কারখানা ৩টি রাতভর ঘিড়ে রাখা হয়। সুত্র আরও জানায়, অনুমোদনহীন করাখানাগুলোতে নোংরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ড্রামভর্তি পানিতে কাপড়ের রং সেকারিন ও ক্যামিক্যাল মিশিয়ে দেশের বিভিন্ন নামিদামী কোম্পানির মোড়ক ও লোগো ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছিল। শিশুদের বাহারি নানা পদের জুস ও পানিয়সহ চকলেট, আচার, ললিপপ, লিচি, ড্রিংকো, সন্দেশসহ বিভিন্ন রকমের সেমাই ও নানা ধরনের খাবার।
বুধবার (২৮ মে) সকালে গাইবান্ধা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেটসহ কারখানাগুলো থেকে নোংরা ও খাবার অনুপযোগী বিপুল পরিমান খাদ্যদ্রব্য, বিভিন্ন কোম্পানির নকল মোড়কসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে আটক দুই কারখানা মালিক রঞ্জু মিয়া ও শাকিল মিয়াকে ২ লাখ করে ৪ লাখ টাকা জরিমানা ও প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। অপর কারখানার সহযোগী অঞ্জনা বেগমকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং দুইজনকে মুচলিকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে অনুমোদনহীন ভেজাল জব্দকৃত খাদ্যদ্রব্য বিনষ্ট করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (সাধারন শাখা) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদ বলেন, মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ করে শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এ সকল পণ্য। এরকম নকল খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনের দায়ে কারখানা মালিকদের সোয় ৪ লাখ টাকা জরিমানা করে নকল পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া কারখানা তিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার আসিব বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে নামিদামি বিভিন্ন কোম্পানির মোড়ক ও লোগো ব্যবহার করে বিষাক্ত এসব খাবার তৈরি করে শহরও গ্রামঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারে সরবরাহ করে আসছিলেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/এএম