এবার নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ মোট ৪০ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এদের মধ্যে বিজিবির অধীনে ৩২ জন ও পালিয়ে যাওয়ার পথে সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন ৮ জন। মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলার দুর্গাপুরের বিজয়পুর সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে তাদেরকে পুশ ইন করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ভারতের মেঘালয়ের বাঘমারা সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন শুরু করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বিজয়পুর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ৩২ জনকে বিজিবি বিজয়পুর বিওপির সদস্যরা আটক করে।
সূত্র জানায়, বিজয়পুর বিওপির ১১৪৮ মেইন পিলার হতে ১১৪৯ মেইন পিলারের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বাংলাদেশি ৩২ জনকে গভীর রাতে পুশ ইন করলে তাদেরকে আটক করা হয়। এরপর তাদের পরিচয় শনাক্তের পর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইল, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, ঢাকা, জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, শেরপুর ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
বিজিবির অধীনে থাকা আটক ৩২ জনের মধ্যে নয়জন পুরুষ, ২২ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে। এছাড়াও সীমান্ত দিয়ে পার হয়ে যাওয়ার সময় সেনাবাহিনীর অধীনে আটকদের মধ্যে ৫ জন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন।
অন্যদিকে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, পুশ ইন-এর পর পালিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গাপুর বাজারের বিভিন্ন স্থান থেকে আরো ৮ জনকে আটক করে দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। আটককৃতরা জানায়, অনেককে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আটকের পর বিমানে করে আসামের রাজধানী গৌহাটিতে নিয়ে আসা হয়। পরে গাড়িতে করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে পুশ ইন করায় বিএসএফ।
তারা বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করে। তারা আরও জানায়, বিভিন্ন সময় তাদেরকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। কারো ভিসার মেয়াদ ছিল না। কারোর পাসপোর্টই নেই।
নেত্রকোনা (৩১ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. আওয়াল হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাদের অধীনে থাকা ৩২ জনের পরিচয়-ঠিকানা শনাক্তের পর আটককৃতদের দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো. মাহমুদুল হাসান জানান, বিজিবি ৩২ ও সেনাবাহিনীর ৮ জনের বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। পরে তাদেরকে নেত্রকোনা আদালতে সোপর্দ করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল