রংপুরে এখন পর্যন্ত চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া না গেলেও করোনা ও ডেঙ্গু রোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এ পরিস্থিতিতে মশা নিধন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে মশক নিয়ন্ত্রণে উৎসাহিত করার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ১০ সদস্যের দুটি সচেতনতামূলক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। কারও দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত না হলেও এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে মোট ১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রংপুরে ৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ২ জন এবং দিনাজপুরে ৫ জন রয়েছেন। বিভাগে এখন পর্যন্ত মোট ২০৩ জনের করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
অন্যদিকে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে লালমনিরহাটে ১ জন, গাইবান্ধায় ৪ জন এবং পঞ্চগড়ে ২ জন রয়েছেন। বিভাগজুড়ে এ পর্যন্ত মোট ৭০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তবে করোনা ও ডেঙ্গু রোগে রংপুরে এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৮টি উপজেলায় এখনো চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
রংপুর সিভিল সার্জন ডা. শাহীনা সুলতানা জানান, ‘এখনও পর্যন্ত কোনো চিকনগুনিয়া রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, করোনা, পুষ্টি এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে দুটি ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা সরাসরি জনগণের সঙ্গে কাজ করবেন এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবেন।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ