নেত্রকোনার মদনে শিয়ালের কামড়ে নারী শিশুসহ ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে জলাতঙ্ক ভ্যাক্সিন দিয়েছে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ নুরুল হুদা খান বলেন, শিয়ালটি জলাতঙ্কে আক্রান্ত। আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন কামড়ের রোগী সেবা নিয়েছে। প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। পরের ডোজ নিতে হবে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে। তিনি বলে চাঁনগাও গ্রামে পাগলা শিয়ালটি মানুষকে কামড়ায়। পরে একে একে ১৫ জন রাতে হাসপাতালে ছুটে আসে।
তিনি আরও বলেন, এটি যদি অন্য কোন শিয়াল বা কুকুরকে কামড়ায় তাহলে সেগুলোও জলাতঙ্ক হবে এবং মানুষের মাঝে ঝড়াবে। তাই আমরা রাতেই প্রাণি সম্পদের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। এটিকে মেরে ফেললে জলাতঙ্ক ছড়াবে না। তা না হলে ছড়িয়ে মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।
আহতরা হলেন, শিফা আক্তার (২৯), সালমা আক্তার (২৪), তন্না আক্তার (১০), মোরসালিন (১৭), জেসমিন আক্তার (৪৫), এরশাদ মিয়া (৩৫), শামীম মিয়া (৩৮), আঙ্গুর মিয়া (৫০), তাইজুল (৬), আসব আলী (৭৫), মারিয়া আক্তার (৩), লিজা আক্তার (৯), আবির (২) ও কাইয়ূম মিয়া (৪০)। তারা প্রত্যেকেই মদন উপজেলার চাঁনগাও গ্রামের।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘরে বাইরে হঠাৎ করে একটি পাড়ায় শেয়াল ঢুকে পড়ে। একটি ঘরে কাইয়ুম নামের একজনকে কামড় দেয়। এসময় দৌড়াদৌড়ি করে শেয়ালটি একে একে ১৭ জনকে কামড় দেয় বলে স্থানীয়রা দাবী করেন। তবে হাসপাতাল সূত্রে ১৫ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ১৪ জনের নাম পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখি কি করা যায়।
এদিকে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য এনিমেলস অফ সুসং এর সভাপতি রিফাত আহমেদ রাসেল জানান, বনে জঙ্গলে খাবারের অভাব দেখা দেয়ায় এসকল প্রাণি লোকালয়ে চলে আসছে। পাশাপাশি বন জঙ্গলও কমে গেছে। শিয়ালটি হয়তো তাড়া খেয়ে বাঁচার জন্যই মানুষকে কামড়েছে। তবে মানুষকে কামড়ানো একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা। তাই প্রাণিদের রক্ষার জন্য এবং মানুষের কাছাকাছি না আসবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
বিডি প্রতিদিন/এএম