নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের একমাত্র বাঁশের সেতুটি কচুরিপানার চাপে ভেঙে পড়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে ভারী বর্ষণের কারণে নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় এবং অতিরিক্ত কচুরিপানার চাপে সেতুটি ভেঙে পড়ে নন্দকুজা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ফলে সেতুটিকে ঘিরে চলাচলকারী তিন উপজেলার ২২ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে স্থানীয় হোলাইগাড়ি জাগরণী সংঘের উদ্যোগে এবং ২২টি গ্রামের মানুষের স্বেচ্ছাশ্রম ও চাঁদায় নির্মিত হয়েছিল বাঁশের এই সেতুটি। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ এ সেতু ব্যবহার করে পারাপার করতেন। এটি ছিল নাটোর সদর উপজেলার হালসা, গুরুদাসপুরের নাজিরপুর এবং সিংড়ার চামারী ইউনিয়নের মানুষের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জাগরণী সংঘের সদস্য জহির আহমেদ জানান, ‘এই সেতুর মাধ্যমেই এলাকাবাসী চামারী ডিগ্রী কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাট-বাজার, ঈদগাহ, গোরস্থান, মাদ্রাসা, দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র, ব্যাংক-বীমা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতেন। হঠাৎ ভেঙে যাওয়ায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। আমরা দ্রুত একটি টেকসই সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁশের সেতুটি ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েছি। দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
স্থানীয়দের দাবি, স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি এই অস্থায়ী সেতুই এতদিন ছিল তাদের ভরসা। দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য এখনই একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ না হলে ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ