রংপুরের পীরগঞ্জ পৌরসভায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩টি পাম্পের সাহায্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পৌর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। ফলে প্রতিদিনই পৌরবাসীকে পানি কিনতে টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। আর অসচ্ছলরা বিশুদ্ধ পানি কিনতে না পারায় পানিবাহিত নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিগত সরকারের মেয়র পালিয়ে গেলে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে জনদুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা গেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের আওতায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পীরগঞ্জ পৌরসভায় ৩টি পাম্প বসানো হয়।
পলাতক মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম ও জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী আল মামুন ওই প্রকল্প থেকে অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা নেয়ায় প্রকল্পটিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালে পৌর এলাকার ওসমানপুর মৌজার পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের পাশে সাবেক কাউন্সিলর সাহেব আলীর জমিতে, সোনাকান্তর মৌজায় পলাতক মেয়রের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত লাল মিয়ার জমিতে এবং গাড়াবেড় জামে মসজিদের সামনে এই তিনটি স্থানে পানির পাম্প স্থাপন করা হয়। প্রায় ৪ মাস পৌরবাসীর মাঝে বিশুদ্ধ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে বর্তমানে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানি না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে মারাত্মক সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
বাসিন্দারা জানান, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ না করায় রান্না, খাওয়া ও দৈনন্দিন কাজে তীব্র ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। অনেক পরিবার বাধ্য হয়ে দোকান থেকে অতিরিক্ত দামে বোতলজাত পানি কিনে ব্যবহার করছেন। পৌরসভার ৪, ৮ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ টাকা খরচ করে পানি কিনতে হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষজন সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, পৌরবাসী পানির বিল না দেওয়ায় সরবরাহ অপাতত বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পানি সরবরাহ বন্ধ।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ