গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে একদিনে তিনটি পৃথক ঘটনায় ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। অপরজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ। এর আগে শুক্রবার দিনভর উপজেলার সর্বানন্দ, কাপাসিয়া ও বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনাগুলো ঘটে।
এদিন সন্ধ্যায় উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়া (বাধের পূর্বপাড়) এলাকার ফয়েজ রহমান (৩৫) পারিবারিক কলহের জেরে নিজ শয়ন ঘরে ধরনার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত বংশের আলী ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্ত্রী ডিভোর্স দেওয়ার পর দেনমোহর ও ভরণপোষণের মামলার কারণে মানসিক চাপে তিনি এ পথ বেছে নেন। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে দুপুরে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের খামার মনিরাম এলাকার আরিফুল ইসলাম (৩০) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। তিনি ওই এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে।
জানা যায়, ওই সময় আরিফুল ইসলাম ভ্যান ও কোদাল নিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে যাওয়ার সময় দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা একটি বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এদিকে, ওইদিন সকালে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর সাহাবাজ এলাকার নিজ বাড়ির পেছনের থাকা আতা গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় সোলায়মান মিয়ার (৭০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান সোলায়মান মিয়া। পরদিন শুক্রবার সকালে বাড়ির পেছনে আতা গাছের ডালে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাকে ঝুলতে দেখতে পান স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, পৃথক ঘটনায় তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে দুজনের ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে, আর একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন