সম্প্রতি দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও একক ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তবে একক ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব ছাড়া কোনো ব্যক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো কোম্পানির ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিএফআইইউ কর্তৃক মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ২৩ (১) (গ) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মানিলন্ডারিং অপরাধ সন্দেহে কতিপয় ব্যক্তি ও একক ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত হিসাবের লেনদেন স্থগিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ওই নির্দেশনার বাইরেও ব্যক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির হিসাবসমূহের লেনদেন স্থগিত করেছে।
ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের দৈনিন্দন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন প্রদান ও অনেক ক্ষেত্রে আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট লেনদেন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের এ ধরনের কার্যক্রম অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরর্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভোগান্তিতে পড়তে পারেন, যা মোটেই কাম্য নয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিএফআইইউ কর্তৃক সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্দেশনার মাধ্যমে ব্যক্তি ও একক ব্যক্তি মালিকানাধীনের প্রতিষ্ঠান নামে পরিচালিত হিসাব ব্যতীত ব্যক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো কোম্পানির হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়নি।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট জব্দ করিনি। সেটা এস আলমের হোক বা সালমান এফ রহমানের হোক। কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়নি। যাদের একাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, সবগুলো ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট। আমরা কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হাত দিতে চাই না। কর্মসংস্থান নষ্ট এবং উৎপাদন ব্যাহত হোক আমরা সেটা চাই না।