ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশের আম রপ্তানিতে উভয় দেশেরই লাভ হবে। এর মধ্যে দিয়ে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য আসবে।
বুধবার চীনে আম রপ্তানি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
চীনের বাজারে আম রপ্তানি উপলক্ষে বুধবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশি আমের প্রবেশ কেবল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা উন্নত করতে সাহায্য করবে না, বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতার পারস্পরিক উপকারী এবং উভয়ের জন্যই লাভজনক সারাংশ প্রতিফলিত করে।
তিনি বলেন, গঙ্গা বদ্বীপের উর্বর মাটিতে জন্মানো বাংলাদেশি আম সবুজ এবং উচ্চমানের কৃষি পণ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। চীনা ভোক্তাদের জন্য এটা আরও বৈচিত্র্যময় পছন্দ এবং এটি অবশ্যই জনগণের মঙ্গল বৃদ্ধি করবে। বাংলাদেশের জন্য চীনা বাজারের বিশাল সম্ভাবনা সরাসরি আম খাতের শিল্প উন্নয়নকে চালিত করবে, আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানির লক্ষ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এরপর দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক-এমওইউ সই হয়। এ প্রেক্ষিতে বুধবার থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু হলো। এ বছর চীনে ৫০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হবে।
এর আগে, গত মাসে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এলাকায় গিয়ে একটি আম বাগানও পরিদর্শন করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই