শিরোনাম
বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

ইতিহাস

সেলিমের বিদ্রোহী ভ্রাতা সিংহাসনের প্রতিদ্বন্দ্বী আহমদ সুলতান সেলিম কর্তৃক পরাজিত হয়ে এশিয়া মাইনরে আত্দগোপন করেন। তিনি শাহ ইসমাঈলের সাহায্য প্রার্থনা করেন এবং শিয়া বিদ্রোহীদের রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপে প্ররোচিত করেন। চতুর্থত, শাহ ইসমাঈল দুর্দশনীয় তুরস্ক জেনিসারী বাহিনীর ক্ষমতায় শংকিত হয়ে বৈদেশিক সাহায্য পার্থনা করেন। তিনি হাঙ্গেরি ও মিসরে দূত প্রেরণ করে সামরিক সাহায্য চান। এর ফলে শাহ ইসমাইলের সমর প্রস্তুতি গ্রহণ একরূপ নিশ্চিত হয়ে পড়ে। পঞ্চমত, শাহ ইসমাইল সাফাভি বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং যোগ্য ও দক্ষ শাসক ছিলেন। অপরদিকে সেলিম ছিলেন তেজস্বী, রণকুশলী, পরাক্রমশালী ও উচ্চাভিলাষী। উভয়ের মধ্যে সন্দেহ, অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব ও ব্যক্তিগত মর্যাদাবোধের ফলে তুরস্ক পারস্যের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। ষষ্ঠত, তুর্কি-পারস্যের সংঘাতের প্রত্যক্ষ কারণ হিসেবে বলা যায়, সেলিমের এক ভ্রাতুষ্পুত্র মুরাদকে শাহ ইসমাইল আশ্রয় প্রদান করেন এবং এর ফলে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ায়।

সর্বশেষ খবর