শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৯ জুন, ২০২০ আপডেট:

স্মৃতির পাতায় মোস্তফা কামাল সৈয়দ

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
স্মৃতির পাতায় মোস্তফা কামাল সৈয়দ

মোস্তফা কামাল সৈয়দ একজন আদর্শ মানুষের নাম। বাংলাদেশ টেলিভিশনে যিনি ছিলেন আদর্শের প্রতীক। মোস্তফা কামাল সৈয়দ একজন নীতিবান সরকারি চাকরিজীবীর নাম। যিনি ছিলেন সৎ, নিষ্ঠাবান ও আপসহীন, নিয়মানুবর্তিতা ও সময়ানুবর্তিতার যথার্থ সংজ্ঞা। যে মানুষটিকে ভালোবাসে মিডিয়া জগতের সবাই। ভালোবাসে তার চেনাজানা কাছের-দূরের সব মানুষ। আর এই ভালোবাসার কারণ তার আচার-আচরণ, সততা, সরলতা। মোস্তফা কামাল সৈয়দ ছিলেন টেলিভিশনের স্বর্ণযুগের গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ ৫৮ বছরের কর্মময় জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি কাটিয়েছেন টিভি মিডিয়ায়। তিনি শুধু একজন চাকরিজীবীই নয়, ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তার ভরাট কণ্ঠের আবৃত্তি, ধারা বর্ণনা কিংবা আজানের শেষে দোয়া শুনলেই বোঝা যেত এই ভরাট কণ্ঠ আর কারও নয় আমাদের প্রিয় কামাল ভাইয়ের। সবার পছন্দের এই ভালো মানুষটি গত ৩১ মে করোনার সঙ্গে যুদ্ধে হেরে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার মৃত্যুতে মিডিয়া জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ৭৫ বছর বয়স হলেও তার এই অকাল মৃত্যুতে সবাই গভীর শোকাহত। অকাল মৃত্যু এ জন্যই বললাম তিনি কখনই বয়সের কাছে হার মানেননি। অনেকেই বলতেন তিনি সবসময় যুবক, অলওয়েজ ইয়াং ম্যান। কর্মজীবনের শুরু থেকেই সবার আগে অফিসে গেছেন, বেরিয়েছেন সবার শেষে। শুধু তাই নয়, এই করোনার লকডাউনের সময়ও পরিবারের সবার নিষেধ সত্ত্বেও ঘরে আটকে রাখা যায়নি তাকে। ছুটে গেছেন কর্মস্থলে। প্রচারবিমুখ কামাল ভাই পর্দার পেছনের মানুষ হলেও কর্মগুণে তিনি চলে আসতেন সামনে। অনেক বড় বড় সৃষ্টির নেপথ্য নায়ক। জীবনে কখনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি কিন্তু যোগাযোগের ঘাটতি ছিল না কারও সঙ্গেই। করোনার এই ভয়াবহ দুঃসময়ে মানুষ যখন হাঁপিয়ে উঠেছে ঠিক তখনই হঠাৎ করে কামাল ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে আমি যেন শোকে পাথর হয়ে গেলাম। এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। করোনা পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই মনটা খারাপ, এরপর কামাল ভাইয়ের এই অকস্মাৎ মৃত্যু, সব কিছুই যেন কেমন এলোমেলো করে দিল। মনের পর্দায় ভেসে উঠল কামাল ভাইয়ের সঙ্গে অজস্র স্মৃতির কথা। কোন স্মৃতির কথা বলব-বিটিভির স্মৃতি না এনটিভির স্মৃতি? কামাল ভাই শুরুর দিকে ছিলেন অনুষ্ঠান প্রযোজক, এক সময় সংগীত প্রযোজনাও করতেন। তার তত্ত্বাবধানে ৭০-৮০ দশকে নির্মিত হয়েছে মন ছুঁয়ে যাওয়া সব সংগীতানুষ্ঠান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে, ‘কথা ও সুর’, ‘সুরবাণী’, ‘আমার যত গান’। বেশির ভাগ অনুষ্ঠানেরই উপস্থাপক ছিলেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। আর এখন এত চ্যানেলের ভিড়ে শত শত গানের অনুষ্ঠানেও পাওয়া যায় না সেই সুর, সেই পরিচ্ছন্নতা। পাওয়া যায় না রফিক ভাইয়ের মতো উপস্থাপক। যিনি সত্যিকারের সংগীত বোদ্ধা। মানসম্পন্ন সংগীত অনুষ্ঠান নির্মাণের জন্য ’৭৫ সালের দিকে কামাল ভাই শ্রেষ্ঠ সংগীত প্রযোজক হিসেবেও পুরস্কার পেয়েছিলেন। শুধু গানই নয়, নাটক প্রযোজনার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন দক্ষ, তার বেশ কটি প্রযোজনাই ছিল কালজয়ী। আমরা অনেকেই জানি, আশির দশকের শুরুতে টিভির সেই সোনালি যুগের সুপার স্টার ছিলেন ফজলে লোহানী। টেলিভিশনে টিভি রিপোর্টিংয়ের জনক বলা হয় তাকে। তিনি ছিলেন একাধারে আমার অভিভাবক এবং বন্ধুর মতো। ১৯৮৫ সালের অক্টোবর মাসে লোহানী ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার সঙ্গে আমার শিল্পী জীবনের একটা অধ্যায়ের শেষ হয়। তার মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলাম। তখন কামাল ভাইয়ের উৎসাহেই একই বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে শুরু করেছিলাম ‘ঝলক’ নামের একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। সেটিই ছিল আমার নির্মিত প্রথম ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। সে সময় একজন নির্দিষ্ট প্রযোজকের দায়িত্বে অনুষ্ঠান বানাতে হতো। শুধু পরিকল্পনা এবং লেখালেখির কাজটা ছিল আমার। অনুষ্ঠান করলেও উপস্থাপনার দায়িত্বটা আমি নিতাম না। ২/১টি বিশেষ পর্বে উপস্থিত হতাম। বিভিন্ন সময় টিভি বা চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের দিয়ে উপস্থাপনা করাতাম। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নির্বাচনের ব্যাপারে কামাল ভাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করতাম। যেহেতু তখন থেকেই আমার অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু ছিল অসঙ্গতিকে তুলে ধরা এবং স্যাটায়ারধর্মী। সুতরাং অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রযোজকের সঙ্গে মতের অমিল হতো। সেন্সর যন্ত্রণায় যখন অসহায় হয়ে পড়তাম তখন কামাল ভাইয়ের কাছে চলে যেতাম। কামাল ভাই তখন প্রযোজক এবং আমাকে বোঝাতেন-কোনটা ঠিক, কোনটা ঠিক নয়। তিনি যখন বোঝাতেন আমার কাছে মনে হতো তিনি যথার্থই বলছেন। অন্যদের সঙ্গে তর্ক করলেও কামাল ভাইয়ের সঙ্গে করতাম না, কারণ আমি জানতাম, কামাল ভাই অনুষ্ঠানকে ভালোবাসেন। সুতরাং তিনি যেটা বলবেন সেটা অনুষ্ঠানের স্বার্থেই বলবেন এবং বলতেনও। ‘ঝলক’ এর পর ‘কথার কথা’, এরপর শুরু হলো ’৮৯ সালের প্রথম দিকে ‘ইত্যাদি’। এ সময়ে প্যাকেজ অনুষ্ঠান নিয়ে তার বিভিন্ন কার্যক্রমে এবং সরকারি বিভিন্ন নীতিমালায় তার প্যাকেজবান্ধব ভূমিকা দেখে মুগ্ধ হই।

’৯৪-এর শুরুর দিকে আমাদের প্যাকেজ আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন টিভির বাইরে থেকে নির্মিত অনুষ্ঠানকে প্যাকেজ অনুষ্ঠান বলা হতো। তখন শিল্পীদের মধ্যে প্রচন্ড একতা ছিল। এক সময় আমরা টেলিভিশন বয়কটেরও হুমকি দিয়েছিলাম। আমাদের সম্মিলিত আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে এক সময় মন্ত্রণালয় থেকে কিছু শর্ত দিয়ে প্যাকেজ অনুষ্ঠান নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। সে সময় টেলিভিশনের একটি মহলের ধারণা ছিল বাইরে থেকে কিছুতেই টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ সম্ভব না। কারণ এখনকার মতো তখন এত প্রোডাকশন হাউস, স্টুডিও, ক্যামেরা ছিল না। ‘ফাগুন অডিও ভিশন’ই ছিল তখন প্রথম অনুষ্ঠান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও বিজ্ঞাপন নির্মাণ ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য ইনফ্রেম বলে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল, তারা অনুষ্ঠান বানাতো না। কয়েক বছর পর আরও একটি অনুষ্ঠান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হলো, তারা কারিগরি সহায়তাও দিত এবং অনুষ্ঠানও বানাতো। প্রতিষ্ঠানটির নাম ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। প্রথম দিকে যারা এটিএন এর চাঙ্ক ভাড়া নিয়ে শুরুতে এক ঘণ্টা পরে সম্ভবত ২/৩ ঘণ্টার অনুষ্ঠান চালাত। সে সময় আমি উদ্যোগী হয়ে টিভির সেই মহলটিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বাইরে থেকে ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রস্তাব দিলাম। টিভির সেই মহলটি বিশ্বাস করতে না চাইলেও বিশ্বাস করেছিলেন কামাল ভাই। আর সেই বিশ্বাস থেকেই ‘ইত্যাদি’ যাতে প্যাকেজ অনুষ্ঠান হিসেবে নির্মাণ করতে পারি, সে ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেটাও অনুষ্ঠানের মান বিবেচনায়। কামাল ভাই ভাবতেন ‘ইত্যাদি’ জটিল অনুষ্ঠান, টিভির সীমাবদ্ধ সুবিধায় করা সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানটি বাইরে থেকে নির্মাণ করলে হয়তো এর মান ভালো হবে। কামাল ভাইয়ের আন্তরিক সহযোগিতায় অনেক কষ্ট করে বন্ধুবর চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন বুলুকে নিয়ে টিভির বাইরে গিয়ে নির্মাণ করেছিলাম ‘ইত্যাদি’। প্রচার তারিখ নির্ধারিত হলো ১৮ নভেম্বর ১৯৯৪। কিন্তু সেই মহলবিশেষের কারণে আবার দেখা দিল প্রচার জটিলতা। তারপরও আবার সেই কামাল ভাই এবং নওয়াজিশ ভাইয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি প্রচার সিডিউল হলো। টিভির সঙ্গে ফাগুন অডিও ভিশনের প্রথম চুক্তিপত্র হলো, স্বাক্ষর করলেন নওয়াজিশ আলী খান। সেই চুক্তিপত্রটিই ছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনের বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত টেলিভিশন অনুষ্ঠানের প্রথম চুক্তিপত্র। অনুষ্ঠান প্রিয় এই মানুষটির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৪ সালের ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হলো বেসরকারিভাবে নির্মিত প্রথম প্যাকেজ অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’য় প্রচ্ছদ প্রতিবেদন হলো (১৮ নভেম্বর ১৯৯৪) ‘টেলিভিশনে বহিরাগত’। বেসরকারিভাবে নির্মিত অনুষ্ঠান নির্মাণের পথপ্রদর্শকও বলা হয় ‘ইত্যাদি’কে। কারণ এখান থেকেই যাত্রা শুরু হয়, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ভাবনা। যার অনেক কৃতিত্বের দাবিদার মোস্তফা কামাল সৈয়দ। একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও নানান আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দেয়াল ভেঙেছেন তিনি অনুষ্ঠানের প্রতি ভালোবাসা থেকে। এসব কথা এই প্রজন্মের অনেকেই জানেন না। এখনকার অনেক নির্মাতারই তখন হয়তো জন্মই হয়নি। সুতরাং সেই সময়ের কষ্টের টেলিভিশন, সৃষ্টির টেলিভিশনে কাজ করায় যেমন আনন্দ ছিল, তেমনি সৃষ্টিতেও ছিল প্রশান্তি। কারণ তখন অনুষ্ঠান প্রিভিউ করতেন আবদুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা কামাল সৈয়দ, নওয়াজিশ আলী খান, আতিকুল হক চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো মানুষ। যাদের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখেছি। তখন অনুষ্ঠান নির্মাণ করে দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করতে হতো, কারণ নির্মাণ করলেই হবে না, অনুষ্ঠানটি পরীক্ষায় পাস করতে হবে। আর সে পরীক্ষা করতেন এসব গুণী মানুষ। তাদের হাত দিয়ে কোনো দোষত্রুটি ছাড়া অনুষ্ঠান প্রচারের অনুমতি পেলে অন্যরকম আনন্দে ভরে যেত মন।

১৯৮০ থেকে ৮৫ কামাল ভাইকে চিনেছি, জেনেছি আর ’৮৫ থেকে ২০০৫ এই দীর্ঘ ২৫ বছরে কামাল ভাইয়ের একান্ত সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পেয়েছি। ’৯৪ সালে প্যাকেজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেসরকারি উদ্যোগে টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণ শুরু হলে অনেকেই টিভি ছেড়ে চলে যান, প্যাকেজ অনুষ্ঠান নির্মাণে কিংবা কোনো চ্যানেলে। পরবর্তীতে কেউ কেউ চ্যানেল মালিকও হয়ে যান। আমি প্যাকেজে অনুষ্ঠান নির্মাণ করলেও তখন ২/৩টি স্যাটেলাইট চ্যানেল থেকে উচ্চমূল্যের অফার পাওয়া সত্ত্বেও বিটিভিকে ছেড়ে যাইনি। বিষয়টি কামাল ভাইকে আনন্দ দিয়েছিল। তবে কখনো প্রকাশ করেননি। তবে বুঝতে পেরেছি পরবর্তী ১০ বছর প্যাকেজের আওতায় টিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে গিয়ে। তিনি সব সময় সহযোগিতা করতেন এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ও অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত করতে অনুরোধও করতেন। এভাবেই সময়ের সঙ্গে শিখতে শিখতে এগিয়েছি আগামীর পথে, আর ‘ইত্যাদি’ পাড়ি দিয়েছে ৩২টি বছর।

আমার নাট্যকার হওয়ার পেছনেও কামাল ভাইয়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ১৯৯৮ সালে হঠাৎ করেই তিনি আমাকে ঈদের নাটক করার প্রস্তাব দিলেন। আমি তো অবাক, কামাল ভাই বলেন কী? আমি করব নাটক? আমি তো কখনো নাটক করিনি। তিনি আমার মুখের ওপর বললেন হ্যাঁ করবেন, চেষ্টা করুন হয়ে যাবে। জানলাম শুধু আমাকেই নয়, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে তিনি ম্যাগাজিন বানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন এবং আমরা কামাল ভাইয়ের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দুজন দুটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান করেছিলাম। হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেছিলেন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘রঙের বাড়ৈ’, আর আমি নির্মাণ করেছিলাম নাটক ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’। কামাল ভাই আমাদের মাধ্যমে সে সময় দর্শকদের বৈচিত্র্যের স্বাদ দিতে চেয়েছিলেন এবং দর্শকরাও আনন্দ পেয়েছিলেন। সেই থেকে নাটক করার সাহস পেলাম।

আমার মনে আছে ’৯৫ সালের দিকে ঢাকা শহরে পানির তীব্র সংকটের কারণে পানির অপচয় রোধ করা, গ্যাসের অপচয় রোধে সবাইকে সচেতন করা, সড়ক দুর্ঘটনা ও অগ্নিকান্ড প্রতিরোধের বিষয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রতিবেদন করেছিলাম ‘ইত্যাদি’তে। এসব অনুষ্ঠান প্রচারের পর কামাল ভাই ‘ইত্যাদি’র এই প্রতিবেদনগুলোর ফিলার বানিয়ে দিতে বলেছিলেন। বানিয়ে দেওয়ার পর তিনি তা দীর্ঘদিন টেলিভিশনে চালিয়েছেন। এখানেও তার মানুষকে সচেতন করার চিন্তা কাজ করেছে। অর্থাৎ তার প্রতিটি উদ্যোগের পেছনে একটি মহৎ উদ্দেশ্য ছিল। আর তা ছিল জনস্বার্থ।

কামাল ভাই ক্রিকেট খেলা খুব পছন্দ করতেন। আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার আনন্দে তৎকালীন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর অনুরোধে ক্রিকেট নিয়ে একটি গান নির্মাণ করার সুযোগ পাই। এটি বাংলাদেশে ক্রিকেট নিয়ে নির্মিত প্রথম গান। গানটি প্রথম প্রচারিত হয় ‘ইত্যাদি’তে ১৯৯৭ সালের ২৯ মে। গানটি লিখেছিলেন আশেক মাহমুদ ও সুর করেছিলেন আলী আকবর রুপু। গেয়েছিলেন খালিদ হাসান মিলু, তপন চৌধুরী ও কুমার বিশ্বজিৎ। গানটিতে সে সময়কার ক্রিকেট তারকারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। গানটি নির্মাণের সময় কামাল ভাই সব সময় আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। সব ক্রিকেট তারকাকে পেয়েছি কিনা, ঠিকমতো শুটিং হচ্ছে কিনা, আর কোনো সহায়তা লাগবে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি। শুটিংয়ের আগেই গানটি তিনি শুনতেও চেয়েছিলেন। যদিও এসব কাজ তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না, কারণ গানটি ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছিল। গানটি সম্পাদনা শেষ করে যখন জমা দিই, তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ফিলার হিসেবে বিটিভিতে বেশ কয়েকবার প্রচারও করেন। দীর্ঘ দুই দশকে বিটিভিতে অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে গিয়ে কামাল ভাইয়ের সঙ্গে আমার এমনি অনেক স্মৃতি রয়েছে।

২০০৩ সালের শুরুতে কামাল ভাই এনটিভিতে যোগ দিলেন। তবে সার্বক্ষণিকভাবে যোগ দেন ওই বছরের শেষের দিকে। তখন দেশে ২/৩টি স্যাটেলাইট চ্যানেল যাত্রা শুরু করেছে। ’৯৭-এর দিকে এটিএন বাংলা, ’৯৯-তে চ্যানেল আই, ২০০০-এ ইটিভি, ২০০৩-এ এনটিভি। এনটিভির আগে আরও ২/৩টি চ্যানেল এলেও কামাল ভাইয়ের এনটিভিতে যোগদানের  পেছনেও ছিল তার সুদূরপ্রসারী ও স্বাধীনচেতা মনোভাব। কারণ এনটিভিতে মালিকরা নিজেরা অনুষ্ঠান করে না। সুতরাং এখানে মালিকের অনুষ্ঠান চালানো নিয়ে তার কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। এর মধ্যে আমি টেরিস্টেরিয়াল চ্যানেল ইটিভির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করলাম। এটিএন বাংলার ইউরোপ যাত্রা করলাম। সেই সময় এটিএন বাংলার জন্য একটি সেøাগান ঠিক করে দিয়েছিলাম ‘অবিরাম বাংলার মুখ’। সেই থেকে চ্যানেলে সেøাগান দেওয়া শুরু হলো। তারই ধারাবাহিকতায় এনটিভির সেøাগান ‘সময়ের সঙ্গে আগামীর পথে’ এবং থিম সংটিও তৈরি করলাম। এনটিভিতে যোগদানের পর কামাল ভাই ফাইল ঘেঁটে যখন জেনেছেন এনটিভির সেøাগানটি আমার দেওয়া, তখনই তিনি আমাকে ফোন করেন। সেøাগানটির জন্য বেশ প্রশংসা করলেন। আসলে কামাল ভাই জানতেন, কীভাবে মানুষকে প্রশংসা করতে হয়। যে গুণটি অনেকের মধ্যেই নেই।

এরপর সময়ের চাকা দ্রুত এগিয়ে চললো। কামাল ভাইয়ের সঙ্গে খুব ঘন ঘন দেখা হতো না, কথাও হতো না। মাঝে মাঝে কামাল ভাইয়ের বাসা কিংবা এনটিভির ল্যান্ডফোনে কথা হতো। ফোনটা ধরেই বলতেন, ‘কেমন আছেন হানিফ সাহেব?’ আমি বহুবার অনুরোধ করেও আমাকে তুমি বলাতে পারিনি। তবে তার কথায় বুঝতাম আমার অনুষ্ঠান তিনি নিয়মিত দেখতেন। প্রায়ই জিজ্ঞেস করতেন, এবার কোথায় করবেন? বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অনুষ্ঠান করতে অনেক কষ্ট তাই না? বুঝতাম অনুষ্ঠানের চেহারা দেখলেই বুঝতে পারতেন এর নির্মাণ যন্ত্রণা কত কষ্টের। এরপর শেষের দিকে তিনিও ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন এনটিভি নিয়ে, আমিও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ‘ইত্যাদি’ করতে গিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, ততটা যোগাযোগ হতো না কিন্তু একটা যোগসূত্র ছিল- কারও কাছে যখন শুনতাম তিনি কোনো নির্মাতাকে বলেছেন, ‘‘ইত্যাদি’টা দেখ, কত কষ্ট করে অনুষ্ঠান করে। অনেক কিছুই বুঝতে পারবে। শিখতে পারবে।” আসলে তিনি নিজে কষ্ট করতে ভালোবাসেন। তাই কেউ যখন কষ্ট করে কোনো কাজ করে তিনি প্রাণখুলে তার প্রশংসা করেন। কামাল ভাইয়ের পছন্দের শীর্ষে ছিল মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান, পরিচ্ছন্ন অনুষ্ঠান, রুচিশীল অনুষ্ঠান। আর তাই তো এত চ্যানেলের ভিড়ে এনটিভি একমাত্র চ্যানেল যে তার মানসম্পন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ২০১১ সালে আইএসও পুরস্কার লাভ করেছিল। এনটিভির এই পুরস্কার প্রাপ্তির পেছনেও ছিল কামাল ভাইয়ের অবদান। একনাগাড়ে প্রায় ১৭টি বছর তিনি এনটিভিতে কাজ করেছেন। এনটিভির সবার কাছে তিনি কতটা প্রিয় ছিলেন তার মৃত্যুর পর এনটিভির প্রতিটি কলাকুশলীর চোখের পানি দেখলেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়।

কামাল ভাই ছিলেন প্রচারবিমুখ নীরব কর্মী। সামনে চলতো তার ঝলমলে অনুষ্ঠান আর নির্মাণ তারকা হয়েও তিনি বসে থাকতেন পেছনে। স্বীকৃতির প্রত্যাশা তিনি কখনো করেননি। তার কৃতিত্বের কথাও প্রচার করে বেড়াননি তিনি। নীরবেই কাজ করতে পছন্দ করতেন। আর এই করোনাকালে তিনি চলেও গেলেন নীরবে। এ দেশের মিডিয়াকর্মীদের অন্তরে চিরদিন বেঁচে থাকবেন তিনি। আমরা কামাল ভাইয়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

এই বিভাগের আরও খবর
বিছনাকান্দির দুঃখ
বিছনাকান্দির দুঃখ
গণপরিবহনে নৈরাজ্য
গণপরিবহনে নৈরাজ্য
বিনিয়োগ পরিবেশ প্রয়োজন
বিনিয়োগ পরিবেশ প্রয়োজন
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড স্মৃতি ও শিক্ষা
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড স্মৃতি ও শিক্ষা
এনজিও-সহায়ক নীতিমালা দরকার
এনজিও-সহায়ক নীতিমালা দরকার
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ
অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ
বিনিয়োগে মন্দা
বিনিয়োগে মন্দা
অস্তিত্বসংকটে শুঁটকিশিল্প
অস্তিত্বসংকটে শুঁটকিশিল্প
দরুদ পাঠে সুরভিত জীবন
দরুদ পাঠে সুরভিত জীবন
আহা গ্রিন ক্লিন হেলদি সিটি!
আহা গ্রিন ক্লিন হেলদি সিটি!
আড়াই হাজার বছর আগের মাছচাষি
আড়াই হাজার বছর আগের মাছচাষি
সর্বশেষ খবর
ল্যুভর জাদুঘরে চুরির ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার
ল্যুভর জাদুঘরে চুরির ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে আক্কেলপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে আক্কেলপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

২৭ সেকেন্ড আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

রায়পুরায় বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভা
রায়পুরায় বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভা

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত ‘রাঙ্গা বাহিনী’র প্রধান অস্ত্র-গুলিসহ আটক
সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত ‘রাঙ্গা বাহিনী’র প্রধান অস্ত্র-গুলিসহ আটক

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিক্টোরিয়ায় ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি তথ্য বিনিময় সভা
ভিক্টোরিয়ায় ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি তথ্য বিনিময় সভা

১২ মিনিট আগে | পরবাস

বিমানবন্দর স্টেশনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৪
বিমানবন্দর স্টেশনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৪

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

শাবিপ্রবি ছাত্রদলের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি
শাবিপ্রবি ছাত্রদলের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি

১২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‌‘যুবদল গণমানুষের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে রাজপথে ছিল, থাকবে’
‌‘যুবদল গণমানুষের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে রাজপথে ছিল, থাকবে’

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঢাকা কলেজের পুকুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ফিরে এলো নান্দনিক পরিবেশ
ঢাকা কলেজের পুকুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ফিরে এলো নান্দনিক পরিবেশ

২৮ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

যে কারণ খুলে পড়লো মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড
যে কারণ খুলে পড়লো মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

হঠাৎ মেট্রোরেল বন্ধে দুর্ভোগ
হঠাৎ মেট্রোরেল বন্ধে দুর্ভোগ

৪৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন সাবমিটে মাউশির নতুন নির্দেশনা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন সাবমিটে মাউশির নতুন নির্দেশনা

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ভিন্নতা থাকলেও জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: গোলাম পরওয়ার
ভিন্নতা থাকলেও জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: গোলাম পরওয়ার

৫১ মিনিট আগে | রাজনীতি

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের চেষ্টা করা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের চেষ্টা করা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

সিডনিতে কৃষি কাজে আগ্রহ বৃদ্ধিতে হর্টিকালচারাল প্রোডাক্টসের যাত্রা শুরু
সিডনিতে কৃষি কাজে আগ্রহ বৃদ্ধিতে হর্টিকালচারাল প্রোডাক্টসের যাত্রা শুরু

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো চায় ইউট্যাব
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো চায় ইউট্যাব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাদারীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, পথচারী নারী নিহত
মাদারীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, পথচারী নারী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বৃষ্টিতে স্মার্টফোন রক্ষায় করণীয়
বৃষ্টিতে স্মার্টফোন রক্ষায় করণীয়

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ঘুষ নিয়ে ভাইরাল সেই শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হয়নি
ঘুষ নিয়ে ভাইরাল সেই শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হয়নি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এশিয়ার নবীনতম দেশ এখন আসিয়ানের ১১তম সদস্য
এশিয়ার নবীনতম দেশ এখন আসিয়ানের ১১তম সদস্য

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বামীর ছুরিকাঘাতের চারদিন পর স্ত্রীর মৃত্যু
স্বামীর ছুরিকাঘাতের চারদিন পর স্ত্রীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২ দিনে ডিএমপির ২৫০৯ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২ দিনে ডিএমপির ২৫০৯ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের অহংকার ‘কালিদহ সাগর’
হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের অহংকার ‘কালিদহ সাগর’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদ হাশেমের গানে পুতুলের অ্যালবাম উদ্বোধন
মোহাম্মদ হাশেমের গানে পুতুলের অ্যালবাম উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার বাতাসে গ্যাসের গন্ধ, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ তিতাসের
ঢাকার বাতাসে গ্যাসের গন্ধ, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ তিতাসের

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬ শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬ শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভিটামিন সি সংরক্ষণের উপায়
ভিটামিন সি সংরক্ষণের উপায়

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ভাইরাল কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সেই নিয়োগ সাময়িক স্থগিত
ভাইরাল কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সেই নিয়োগ সাময়িক স্থগিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চারদিকে অদৃশ্য শক্তি ও ধান্দাবাজ গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: দুদু
চারদিকে অদৃশ্য শক্তি ও ধান্দাবাজ গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: দুদু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি ভাঙে সামিরার কারণে : সালমানের সহকারী
সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি ভাঙে সামিরার কারণে : সালমানের সহকারী

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২৩ বছর পর দেশে ফিরছেন অভি, বরিশাল-২ আসনে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন
২৩ বছর পর দেশে ফিরছেন অভি, বরিশাল-২ আসনে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ
আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় নেমেই নেচে উঠলেন ট্রাম্প, ভিডিও ভাইরাল
মালয়েশিয়ায় নেমেই নেচে উঠলেন ট্রাম্প, ভিডিও ভাইরাল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিশদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণের নির্দেশ
মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিশদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণের নির্দেশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’
যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব
বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে : তথ্য উপদেষ্টা
সংঘাতের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে : তথ্য উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুক পোস্টে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, পূর্ণিমা জানালেন সত্যিটা কী
ফেসবুক পোস্টে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, পূর্ণিমা জানালেন সত্যিটা কী

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভালুকায় বিএনপির আনন্দ মিছিল
ভালুকায় বিএনপির আনন্দ মিছিল

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জেন-জিরা হাসিনার ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর
জেন-জিরা হাসিনার ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার স্বজন পরিচয়ে ইউরোপে আশ্রয় চান পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা
হাসিনার স্বজন পরিচয়ে ইউরোপে আশ্রয় চান পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে দিতে হবে কাশি, বারবার কাশতে গিয়ে ধরা পড়লেন পরীক্ষার্থী
প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে দিতে হবে কাশি, বারবার কাশতে গিয়ে ধরা পড়লেন পরীক্ষার্থী

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন কমিশনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’, যুবক আটক
নির্বাচন কমিশনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’, যুবক আটক

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফ্রান্সে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ-হত্যার দায়ে প্রথম কোনো নারীর যাবজ্জীবন
ফ্রান্সে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ-হত্যার দায়ে প্রথম কোনো নারীর যাবজ্জীবন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাকে নির্দোষ বললেন ডন
সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাকে নির্দোষ বললেন ডন

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পাইপ বোরিং করতে গিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস, রান্না করছেন অনেকে
পাইপ বোরিং করতে গিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস, রান্না করছেন অনেকে

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, ৭৯১৭ জন উত্তীর্ণ
বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, ৭৯১৭ জন উত্তীর্ণ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি কমাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি কমাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোনালদোর ৯৫০তম গোলে আল নাসরের টানা ছয় জয়
রোনালদোর ৯৫০তম গোলে আল নাসরের টানা ছয় জয়

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য

১৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত কমলা হ্যারিসের
আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত কমলা হ্যারিসের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রিজার্ভ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানাল আইএমএফ
রিজার্ভ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানাল আইএমএফ

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘সাইয়ারা’র পর নতুন ছবিতে অনীত, আয়ুষ্মানের শুভেচ্ছাবার্তা
‘সাইয়ারা’র পর নতুন ছবিতে অনীত, আয়ুষ্মানের শুভেচ্ছাবার্তা

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট হলেও দলীয় প্রতীকে ভোটে আপত্তি বিএনপির, ইসিতে চিঠি
জোট হলেও দলীয় প্রতীকে ভোটে আপত্তি বিএনপির, ইসিতে চিঠি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাষ্ট্রের সুরক্ষায় প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা : তারেক রহমান
রাষ্ট্রের সুরক্ষায় প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা : তারেক রহমান

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে দামে কেনা যাবে এক ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে এক ভরি স্বর্ণ

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
একটি ফোন কলের অপেক্ষা
একটি ফোন কলের অপেক্ষা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী বেগম জিয়া অথবা তারেক রহমান
বিএনপির প্রার্থী বেগম জিয়া অথবা তারেক রহমান

নগর জীবন

নিঃস্ব থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
নিঃস্ব থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন
মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন

প্রথম পৃষ্ঠা

অবকাঠামো ছাড়াই বিদ্যুতের গাড়ি!
অবকাঠামো ছাড়াই বিদ্যুতের গাড়ি!

পেছনের পৃষ্ঠা

তাবিথের নেতৃত্বে বাফুফের প্রথম বছর
তাবিথের নেতৃত্বে বাফুফের প্রথম বছর

মাঠে ময়দানে

এক মঞ্চে জাতীয় নেতারা
এক মঞ্চে জাতীয় নেতারা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক মেয়রসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক মেয়রসহ চারজন

নগর জীবন

দূরত্ব ও সময় মেপে টাকা নেয় সিন্ডিকেট
দূরত্ব ও সময় মেপে টাকা নেয় সিন্ডিকেট

প্রথম পৃষ্ঠা

তদন্ত করবেন চার দেশের বিশেষজ্ঞরা
তদন্ত করবেন চার দেশের বিশেষজ্ঞরা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিজামী, মীর কাসেমদের ফাঁসি মিথ্যা মামলায়
নিজামী, মীর কাসেমদের ফাঁসি মিথ্যা মামলায়

প্রথম পৃষ্ঠা

বিনামূল্যের ট্রলিতেও দিতে হয় টাকা
বিনামূল্যের ট্রলিতেও দিতে হয় টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

একজন ক্ষণজন্মা ধূমকেতু
একজন ক্ষণজন্মা ধূমকেতু

শোবিজ

ফুরফুরে মেজাজে বুবলী
ফুরফুরে মেজাজে বুবলী

শোবিজ

বিল গেটসের চোখে সুপারহিরো অমিতাভ
বিল গেটসের চোখে সুপারহিরো অমিতাভ

শোবিজ

জাতীয় ক্রিকেটে দুরন্ত সেঞ্চুরি আরিফুলের
জাতীয় ক্রিকেটে দুরন্ত সেঞ্চুরি আরিফুলের

মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আসছেন আজ
পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আসছেন আজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়ানডেতে শচীনের পরেই কোহলি
ওয়ানডেতে শচীনের পরেই কোহলি

মাঠে ময়দানে

অ্যালানার ৭ উইকেট
অ্যালানার ৭ উইকেট

মাঠে ময়দানে

অভিভাবকশূন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্র্রি
অভিভাবকশূন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্র্রি

শোবিজ

সাগরে জেগে ওঠা রূপকথার রাজ্য
সাগরে জেগে ওঠা রূপকথার রাজ্য

দেশগ্রাম

অনুশীলনে টাইগাররা
অনুশীলনে টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

নিগারদের বিশ্বকাপ শেষ আজ
নিগারদের বিশ্বকাপ শেষ আজ

মাঠে ময়দানে

বিরতিতে জাহ্নবী
বিরতিতে জাহ্নবী

শোবিজ

জামায়াত অফিস ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টা সাংবাদিক কারাগারে
জামায়াত অফিস ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টা সাংবাদিক কারাগারে

দেশগ্রাম

খেলল কিংস জিতল আল সিব
খেলল কিংস জিতল আল সিব

মাঠে ময়দানে

অবৈধভাবে টিকিট কেনায় জরিমানা সাত যাত্রীর
অবৈধভাবে টিকিট কেনায় জরিমানা সাত যাত্রীর

দেশগ্রাম

গলার কাঁটা স্লুইসগেট
গলার কাঁটা স্লুইসগেট

দেশগ্রাম

সীমান্তে ভারতীয় পণ্য জব্দ
সীমান্তে ভারতীয় পণ্য জব্দ

দেশগ্রাম