শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বামী-স্ত্রীসহ চারজনের গলা কাটা লাশ

স্বচ্ছ তদন্ত ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করুন

শাহিনুর রহমান মাছ চাষ করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তার পুকুরে মাছ ধরার কথা। মাছ ধরতে জেলেরা এসে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে ডাকেন শাহিনুরের ছোট ভাইকে। বাড়ির ফটকে তালা দেখে তিনি গাছ বেয়ে ওঠেন বাড়ির ছাদে। চিলেকোঠা দিয়ে ভিতরে ঢুকে দেখতে পান শাহিনুরের স্ত্রীর নিথর দেহের পাশে পড়ে আছে তার ছেলেমেয়ের রক্তাক্ত লাশ। চার মাসের শিশু মারিয়া মায়ের লাশের ওপর কান্নাকাটি করছে। বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রীসহ চারজনের এ হত্যাকান্ড ঘটেছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খালিশা গ্রামে। অন্যদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ভরনিয়া শিয়ালডাঙ্গী গ্রামের আকবর আলীর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে বৃহস্পতিবার এক নারী ও তার দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের ধারণা, তিনজনকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। অন্যদিকে একই দিন যশোরে বাদল ও আবদুল আহাদ নামে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় জমিজমা নিয়ে বিরোধ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, হত্যা, নির্যাতন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বাড়ছে। জানা গেছে, জামায়াত-শিবিরও গোপনে প্রকাশ্যে তাদের কর্মতৎপরতা চালাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৩ সালে জাতীয় নির্বাচনের সময় সীমান্ত জেলাগুলোয় ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছিল জামায়াত-শিবির। তারা মামলা চালাতে গিয়ে আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে মাদক ব্যবসাসহ অপরাধমূলক পথ বেছে নিচ্ছে। আর মারাত্মক কোনো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যায়। সাতক্ষীরা, যশোর ও ঠাকুরগাঁওয়ের ঘটনায় মাঠে নেমেছে সিআইডি, গোয়েন্দা পুলিশ, ডিএসবি, র‌্যাব এবং অন্যান্য গোয়েন্দা বিভাগ। আমাদের আশা, স্বাধীন তদন্তকারীরা একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে স্বচ্ছ বিচারের পথে যাবেন, যা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সহায়ক হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সচেতনতা ও মনিটরিং বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর