শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০ আপডেট:

রাষ্ট্র তুমি সংবিধান নামের চুক্তিনামা রক্ষা করছ কি

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
রাষ্ট্র তুমি সংবিধান নামের চুক্তিনামা রক্ষা করছ কি

এককালের কিংবদন্তি ফুটবলার বাদল রায়ের মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই মঙ্গলবারের সকালটি সাংবাদিক জগতের জন্য ছিল বড় ধরনের শোকের ধাক্কা। আজীবন সৎ নির্লোভ নিরহংকার বিনয়ী ও নীতিতে অবিচল সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের অকালমৃত্যু বুকের ভিতরটা একেবারেই দুমড়ে মুচড়ে দিল। আমার প্রিয় মুনীর ভাই এ চরম দুঃসময়ে ছিলেন এক আদর্শিক আপাদমস্তক সাংবাদিক। তিন দশকের বেশি সময় দেখেছি তাঁর সাংবাদিকতা পেশার প্রতি একাগ্রতা। ব্যক্তিগত লোভ তাঁকে স্পর্শ করেনি। আলোকিত সাংবাদিক। ’৯০-এর দশকের শুরুতে আমি যখন মাঠদাপানো রিপোর্টার, রাজনীতিবিদদের বাড়ি বাড়ি ছুটছি মুনীর ভাইকে তখন অনেক নেতার বাড়িতে দেখেছি দেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনায় মগ্ন। আমি তখন রিপোর্টার, তিনি তখন রাজনৈতিক বিশ্লেষক। সেই থেকে সম্পর্ক। মুখে সব সময় হাসি। সব সময় যোগাযোগ রাখতেন। সেই মুনীর ভাইয়ের চলে যাওয়া দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজব্যবস্থায় একটি আলো নিভে যাওয়ার মতো। এ মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়। মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে করোনামুক্ত হলেও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সময় পাননি। হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। আমরা একটা অবক্ষয়ে পতিত সমাজে অন্তহীন দহনে শেষ হয়ে যাচ্ছি। মুনীর ভাইয়ের মতো ভালো মানুষ, মেধাবী সাংবাদিক এত দ্রুত চলে যাবেন তা কি কেউ ভেবেছিলাম! আল্লাহ তাঁকে বেহেশত দিন। আমাকে পছন্দ করা মুনীর ভাইয়ের মমতা কোনো দিন ভোলার নয়।

অভিশপ্ত করোনার থাবায় ফের পৃথিবীতে প্রলয় এসেছে। অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন, অনেকে মারা যাচ্ছেন। ভ্যাকসিনের আগমনও সন্নিকটে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আমরা শুরুতেই পাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে সব ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছেন। জীবন ও জীবিকার লড়াইয়ে বীর বাঙালির যুদ্ধ অবিরাম চলছে। আমরা মরতে মরতে যুদ্ধে যুদ্ধে জন্মেছি। পরাজয় আমাদের স্পর্শ করেনি। মাস্ক ব্যবহার ও সচেতনতার গণজাগরণে গোটা দেশকে ঐক্যের কাতারে শামিল হওয়ার সময় এখন। জীবনের মূল্য সবকিছুর চেয়ে বেশি।

যেসব পরিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, স্বজন হারিয়েছে তারা জানে পরিবার ও সমাজ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কি ভয়ংকর তার চেহারা।

করোনার বড় শিক্ষা- জীবনের ভোগ-বিলাসিতা সব তুচ্ছ। সহজ-সরল-নিরাভরণ জীবনে মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকাই উত্তম। তবু করোনা অনেককে ক্ষমতার দম্ভ অবৈধ অর্থসম্পদ, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার থেকে বিরত রাখতে পারেনি। দেশ ও জনগণের শত্রুরা কখনো মানুষ ছিল না। মানবিকতাবোধ মৃত্যুর ভয় তাদের তাড়া করেনি। তার পরও দেশে ছোটবড় সৎ ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অনেকে সৎ আছে বলেই দেশটা এখনো টিকে আছে।

মাঝেমধ্যে চিৎকার করে জানতে ইচ্ছা করে, হে রাষ্ট্র! তুমি কি সংবিধান নামের চুক্তিনামা রক্ষা করছ? রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে সেই কবে শিক্ষকদের হাতে পাঠ নিয়েছিলাম। রাষ্ট্রচিন্তার দর্শন জগৎসেরা দার্শনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা দিয়েছিলেন। সেখানেই একটি রাষ্ট্রের সীমানা ও তার নাগরিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রের চুক্তিনামা হিসেবে সংবিধানের আবির্ভাব ঘটে। স্বামী-স্ত্রীর বিয়ের কাবিন থেকে বিভিন্ন বৈষয়িক বা সামাজিক চুক্তিনামা যেমন রয়েছে, তেমনি জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের চুক্তিনামা হচ্ছে সংবিধান। আমাদের রাষ্ট্রের জন্মই হয়েছে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ’৬২-এর শিক্ষা,  ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর গণরায়ের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্ধর্ষ সাহসী নেতৃত্ব ও তাঁর ডাকে জনগণের অংশগ্রহণে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। জীবনের ১৩টি বছর কারাগারে কাটিয়ে একটি জাতিকে তিনি মুক্তিযুদ্ধে টেনে নিয়েছিলেন। এখানে তাঁর ৭ মার্চের ভাষণ গোটা জাতিকে এক মোহনায় মিলিত করে। মুক্তিযুদ্ধে উদ্দীপ্ত করার, হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মোহন বাঁশি হয়ে উঠেছিল। তিনি ’৭২ সালে বিশ্বের উদার গণতান্ত্রিক জনগণের ক্ষমতার মালিকানায় আধুনিক সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। সে সংবিধান দেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষতার উচ্চারণে বিশ্বে আবির্ভূত করেনি, বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনাকে বিচ্ছুরিতই করেনি, সমাজতন্ত্রের নামে শোষণমুক্ত সমাজের অঙ্গীকারও করেছিলেন। গণতন্ত্র ছিল তাঁর আজীবনের সংগ্রামের ফসল যা সংবিধানকে আলোকিত করেছিল। সেদিন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরাজিত অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অতিবিপ্লবী ও উগ্রপন্থিদের অন্ধকার রাজনীতির নাশকতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে শুধু তছনছ করেনি, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট রচনা করেছিল। এসব তৎপরতায় লিপ্ত খলনায়কদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। জনগণের সঙ্গে সংবিধান নামের চুক্তিনামা ভঙ্গ করেছে। পরিবার-পরিজনসহ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যা রুখতে ব্যর্থ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংবিধানে ধরে রাখতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জনগণের সঙ্গে করা চুক্তিনামা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধ খুনিদের অসাংবিধানিক শাসন কায়েম করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সাংবিধানিক ধারা অক্ষুণœ রাখতে নির্লজ্জের ভূমিকা রেখেছে। রাষ্ট্র জনগণের সঙ্গে সেদিন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এটা কোনো বিপথগামী সেনা সদস্যদের হত্যাকা- ছিল না। যদি বিপথগামী সেনা সদস্যদের হত্যাকা- হয়ে থাকত তাহলে সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা পদবিতে জুনিয়র খুনিদের বসানো মীরজাফর খ্যাত মোশতাক সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করত না। খুনিদের আইনের আওতায় না এনে, কোর্ট মার্শাল না করে, ক্যু-পাল্টা ক্যু না করে উচ্চাভিলাষী সেনানায়করা নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে রক্ত ঝরাত না। এক লাথিতে বিচারপতি সায়েমকে খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানকারীরা রাষ্ট্রপতি বানিয়ে গণবাহিনী আর সৈনিক সংস্থার সংশ্লিষ্টতার মূল নায়ক কর্নেল তাহের জিয়াকে মুক্ত করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নের উদ্ভট স্বপ্ন দেখে নিজের জীবনটাও হারাতেন না। খালেদ মোশাররফসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের নিহত হতে হতো না। ষড়যন্ত্রের আসল নায়ক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সংবিধান লঙ্ঘন করে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেন। দীর্ঘমেয়াদি একনায়ক পাকিস্তানি ধারার আদর্শের রাজনীতি নিয়ে কঠোর নির্দয় সেনাশাসক থেকে প্রেসিডেন্ট হতেন না। হত্যার রাজনীতির রক্তের পিচ্ছিল পথে তাকেও জীবন দিতে হতো না। এই রাষ্ট্র জন্মের পর থেকেই জনগণের সঙ্গে করা চুক্তিনামা লঙ্ঘন করছে। হে রাষ্ট্র! যেখানে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতাসহ সবার হত্যার বিচার ২১ বছর নিষিদ্ধ ছিল সেখানে আজ কি গর্ব করে বলতে পারি সংবিধানে বলা ন্যায়বিচার মানুষ পাচ্ছে?

হে রাষ্ট্র! যে জনগণকে সংবিধানে ক্ষমতার মালিক করা হয়েছে সেই জনগণের হাতে কি তোমার মালিকানা অর্পিত হয়েছে? গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ও সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কি স্বাধীন শক্তিশালী রূপ নিয়েছে? সমাজে বৈষম্য বেড়েছে না শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আকাশছোঁয়া একটি ভাস্কর্য তাঁর ও জাতির বীরত্বের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনেক আগেই হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। আরবে মুসলিম দেশে দেশে এমনকি পৃথিবীর শীর্ষে থাকা মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ভাস্কর্য রয়েছে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যখন ধর্ম ব্যবসায়ীরা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয় তখন রাষ্ট্র নীরব হয়ে বসে থাকে কী করে? ইসলামী রাষ্ট্র ও তাদের ইসলামী বিপ্লবের নায়ক আয়াতুল্লাহ খোমেনির ভাস্কর্য যেখানে শোভা পাচ্ছে সেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরুদ্ধে এ ধরনের হুঙ্কার যারা দিচ্ছে উগ্র হঠকারী সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে ভাস্কর্যকে মূর্তি বলে, তাদের বিরুদ্ধে আইন কেন নীরব হয়ে বসে থাকে? হে রাষ্ট্র! তোমার জন্মের নেপথ্যে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের লাখো লাখো শহীদের রক্ত ও মা-বোনের সম্ভ্রমহানির যে বেদনা জাতির হৃদয়ে হাজার বছর ধরে ক্রন্দন করবে, তারা এসব দেখার জন্য জীবনদান করেননি। এটা বরদাশত করা যায় না। করোনা মহামারীতে সবার জন্য সভা-সমাবেশের বিধিনিষেধ থাকলেও এদের এ উগ্রমূর্তি নিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করার সুযোগ কেন দেওয়া হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারসাম্যের রাজনীতি করছেন। কওমি শিক্ষার জন্য অনেক ইতিবাচক কাজ করেছেন। তাঁর আমলেই আলেম-ওলামারা সর্বোচ্চ হজে গেছেন। আলেম-ওলামাদের আমরাও সম্মান করি। কিন্তু রাজনৈতিক মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পাকিস্তানি আইএসআইর প্রেসক্রিপশনে যারা সাঈদীর মুক্তি থেকে জনমত গড়তে ওয়াজ করেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে বাধা দেন তা গ্রহণ করি না। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ, গ্রেনেড বোমা ১০ ট্রাক অস্ত্র উলফাকে সহযোগিতা ও একুশের ভয়াবহ হামলা নিয়ে বিস্তর লিখেছি। পরিণতিতে জঘন্য গুজব ছড়িয়ে আমার বাস করা অ্যাপার্টমেন্টে সঙ্ঘবদ্ধ শক্তি ভয়াবহ আক্রমণ ও তান্ডব চালিয়েছে। এসব পরোয়া করে সাংবাদিকতায় আসিনি। যেমন ’৭৫-এর পর জীবনের মায়া নিয়ে বড় দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির মিছিলে নামতে পরোয়া করিনি। আজ গোটা দেশ আওয়ামী লীগ হয়ে যেতে পারে, ক্ষমতার লোভ-মোহে দেশের চেনা দুর্নীতিবাজ অর্থ পাচারকারীদের ঘুষখোর তদবিরবাজদের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়নি। আপাদমস্তক মর্যাদার সঙ্গে সাংবাদিকতা করা আমার অ্যাকাউন্ট তল্লাশি করা হয়েছে গোটা দেশের ব্যাংকগুলোতে। বলেছিলাম, ব্যাংক হিসাব জনগণের সামনে উন্মোচন করে দিন। কিন্তু সব ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যাংক ও সম্পদের হিসাব বের করুন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আবদুল মোমেন সম্প্রতি বলেছেন, রাজনীতিবিদরা নন, বিদেশে সর্বোচ্চ অর্থ পাচার করেন সরকারি কর্মচারীরাই। এ নিয়ে প্রতিবাদ আসেনি। তিনি বলেছেন, কানাডায় আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিদের সম্পর্কে গোপনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাড়িঘর যেমন বেশি তেমনি তাদের পরিবারও বাস করছে। রাষ্ট্রের কাছে জিজ্ঞাসা, এই অনৈতিক সুযোগদান কীভাবে ঘটে? সংবিধান এখানে কোথায় থাকে? তিনি আরও বলেছেন, তাঁর কাছে আসা ২৮টি ঘটনার মধ্যে চারজন রাজনীতিবিদ ছাড়া বিদেশে অর্থ পাচারকারী ও ছেলেসন্তান রাখা ২৪ জনই গার্মেন্ট মালিক। সুইজারল্যান্ডে যাদের টাকা তাদের নাম তারা দিতে চায় না। এটা সত্য, দেশে দেশে ৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। দেশে দেশে বেগমপাড়া আজ। রাষ্ট্রের এত প্রতিষ্ঠানকে জনগণের টাকায় হাতি পোষার মতো কেন তবে পুষতে হবে?

হে রাষ্ট্র! জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কতটা পালিত হচ্ছে? ধর্ষণ, হত্যা, নিরপরাধ মানুষের ওপর অত্যাচার, ব্যক্তিগত হিংসা-আক্রোশে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানো থেকে হয়রানি, গ্রাম পর্যন্ত মানুষের জায়গাজমি দখল কীভাবে ঘটে? পুলিশি হেফাজতে মৃতের সংখ্যা গত ৫০ বছরে অনেক। শেখ হাসিনার আমলে সেদিন একটি মাত্র বিচারে সাজা হয়েছে। কোথায় মানুষের নিরাপত্তা? জনগণ ক্ষমতার মালিক মানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। বিচারপতিদের পরই বঙ্গবন্ধু এমপিদের মর্যাদার জায়গা রেখেছিলেন। এরশাদ আমল থেকে বিএনপি পর্যন্ত ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ তাঁর বক্তৃতায় বারবার পরিষ্কার করেছেন। যেখানে সচিবরা ও এমপিদের স্যার ডাকার কথা সেখানে অনেক জেলায় ডিসিরাও ডাকতে চান না। হে রাষ্ট্র! তোমার চুক্তিনামা তখন কোথায় থাকে?

স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে সংবিধান পরিষ্কার বললেও রাষ্ট্র তুমি নির্বিকার! উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতাহীন করে ইউএনওকে ক্ষমতাবান করে রেখেছ। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের আইয়ুব আমল থেকে এখনো চাল চোর গম চোর বানিয়ে ধরা হয়। সরকারি কর্মচারীদের অপরাধ মাফ হয়ে যায়। কিছু মন্ত্রী-এমপিও রয়েছেন ব্যক্তিত্বহীন। সচিব দেখলে স্যার ডাকা শুরু করেন। এদের সংসদে আসার যোগ্যতা নেই। এমপিদের অধিকার সম্পর্কে তাদের এবং সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মশালা করা উচিত। ইদানীং অনেক জায়গায় একদল সচিব ক্ষমতার দম্ভে মন্ত্রীদেরও আমলে নিতে চান না। এটা গণঅসন্তোষ তৈরি করে। রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শাসন দুর্বল করে। গণমাধ্যমের সঙ্গে নিয়মিত সম্পর্ক থাকবে তথ্যমন্ত্রীর। ড. হাছান মাহমুদ একজন ভদ্র-বিনয়ী সজ্জন মানুষ। গণমাধ্যমের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। সেখানে তাঁকে রেখে রাষ্ট্রের বিভিন্ন যন্ত্র সবকিছু নিয়ে মিডিয়ায় মাথা ঘামালে মিডিয়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর ইমেজেরই ক্ষতি করবেন।

জি কে শামীমের পর শেখ হাসিনার কঠোর অভিযানে মাফিয়া গোল্ড বা গোল্ডেন মনির ধরা পড়েছে। এমন রাজকীয় কেলেঙ্কারি উন্মোচিত হয়েছে যে, বিএনপি জমানায় তার উত্থান ঘটলেও এই সরকারের আমলেও তার অপরাধের সঙ্গী অনেক ঊর্ধ্বতনরা ছিলেন। হে রাষ্ট্র! কুম্ভকর্ণের ঘুমে ছিলে কি তুমি? সংবিধান লঙ্ঘন করে এমন মাফিয়াকে হৃষ্টপুষ্ট কর যে, কাপড়ের দোকানের কর্মচারী থেকে হাঁড়িপাতিল ব্যবসায়ী থেকে রাস্তায় গুলি খেয়ে মরা সন্ত্রাসী মুরগি মিলনের ক্যাশিয়ার থেকে আজকের মাফিয়া গোল্ডেন মনিরের ব্যাংকে হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। রাজউকের অসংখ্য প্লটসহ ঢাকায় ২০০ প্লট রয়েছে তার। ওপর নিয়েছে। একটি হাউজিং কোম্পানির মালিকানা কিনেছে। সোনা চোরাচালান থেকে সব অপকর্মে বিত্তশালী এই গোল্ডেন মনির বিদেশে অর্থ পাচার করেছে হিসাবহীন। গাউছিয়ায় ছিল তার সোনা বিক্রির হটস্পট। ২৫টি অ্যাকাউন্টে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সে লেনদেন করেছে। তাকে গ্রেফতারের সময় ১ লাখ টাকা, ৫টি বিলাসবহুল গাড়ি, মদসহ কত কিছু মেলে! ব্যাংকে আছে ৫০০ কোটি টাকা। রাস্তার চোরদের হাতে অর্থসম্পদ তুলে দিতে কি দেশটা স্বাধীন? হে রাষ্ট্র! তোমার ব্যর্থতায় চুরির দায়ে সাধারণ দোকানের কর্মচারীর চাকরি যাওয়া গোল্ডেন মনিরকে নিয়ে আজ সংবাদ শিরোনাম হয়। হে রাষ্ট্র! জি কে শামীম আর গোল্ডেন মনিরদের সংখ্যা কত? লুটেরার সংখ্যা কত?

ম্যানশন আকৃতির আলিশান বাড়ির সামনের ড্রাইভওয়েতে বিশ্বনন্দিত ব্র্যান্ডের গাড়ি। পেছনে নোঙর করা স্পিডবোট। কখনো লং ড্রাইভ কখনো লেকে ঘোরেন তিনি। টরেন্টোর গার্ডিনার এক্সপ্রেস ধরে ৪০ কিলোমিটার দূরে সিনেমাটিক জীবনযাপন করেন কিছু বাংলাদেশি। অনেক বছর ধরে তারা সেখানে বাস করেননি। ব্যবসাও করেননি। জীবনের সংগ্রাম জানেন না। তাদের অধিকাংশই দৃশ্যমান আইনে কয়েক বছরে বাড়িগুলো কেনা। এদের অনেকে এ দেশের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা। গত ৫৬ মাসে যে টাকা সেখানে পাচার হয়েছে কয়েক বছরেও তা হয়নি। বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা আর ফেরত দেয়নি। সেখানে তাদের রাজকীয় জীবন। সব অপরাধীর গুরু কারা হে রাষ্ট্র! তুমি কেন ব্যর্থ? জনগণ ক্ষমতার মালিক। শোষণমুক্ত সমাজের চুক্তির কী হলো? ঢাকার বিভিন্ন সরকারি প্লট কারা পেয়েছে কারা পায়নি? এ কেমন বৈষম্য! সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অঢেল সম্পদের মালিক হয়। সরকারি জায়গাও পায়। রাষ্ট্র তুমি তখন কোথায় থাকো?

 

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা
ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত
রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

৭ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১৫ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ
বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার
ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

মামলার জালে শোবিজ তারকারা
মামলার জালে শোবিজ তারকারা

শোবিজ

চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ
চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ

পূর্ব-পশ্চিম