রবিবার, ৩০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারতে নারী পাচার

ইউটিউব অনাচারে লাগাম টানা হোক

বাংলাদেশি এক তরুণীকে দেহব্যবসায় বাধ্য করতে তার ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছে নারী পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। এ নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরালও করে দেয় সুসংবদ্ধ অপরাধীরা। পুলিশ নির্যাতিত তরুণীকে উদ্ধার করেছে। আটক করেছে অপরাধীদের। নিপীড়কদের পালের গোদা ইউটিউবের বাংলাদেশি টিকটকার হৃদয় বাবু। ঢাকার মগবাজারের বাসিন্দা বাবুর বিরুদ্ধে এলাকায় ছিনতাই-রাহাজানিসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারত, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নারী পাচার একটি ওপেন সিক্রেট। অবশেষে জানা গেল, দেশে অপসংস্কৃতির গড্ডলিকা প্রবাহের মাধ্যমে ইউটিউবের টিকটকাররাও এ ধরনের অপরাধে জড়িত। ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি পতিতাপল্লী থেকে পাচারকৃত তরুণীকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় পুলিশ। তার ওপর নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত দুই নারীসহ ছয়জনকে তারা গ্রেফতারও করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ অপরাধী হৃদয় বাবুকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি অন্য কেউ গ্রেফতার হলে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে ফেরত পেতে চাচ্ছে। হৃদয় বাবুর অপতৎপরতা সম্পর্কে তদন্তও শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক প্রচারমাধ্যমের অনাচার চলছে দীর্ঘদিন ধরে। ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ ও অসহিষ্ণুতার বিস্তার, সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতিতে উৎসাহসহ চরিত্র হননের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউটিউব। তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারজনিত অনাচারে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলাও হুমকির মুখে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, হাটহাজারী ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের অঘটনের পেছনে ফেসবুক ও ইউটিউব অনাচারের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। সন্দেহ নেই, তথ্যপ্রযুক্তি মানুষের জানা এবং জ্ঞানচর্চার পরিধিকে সম্প্রসারিত করেছে। তবে একই সঙ্গে এটি সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি, ব্লাকমেইলিং ও যৌন হয়রানির হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ফেসবুক ও ইউটিউব জঙ্গিবাদ ও অসহিষ্ণু শক্তির হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে। এসব অনাচার বন্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে। এটি তাদের দায়িত্ব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর