বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

নতুন গ্যাস ক্ষেত্র

সংকট মোচনে অবদান রাখবে

সিলেটের জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধানলাভ জ্বালানি সংকটের সময় কিছুটা হলেও আশার আলো জ্বালিয়েছে। বাংলাদেশের গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর মজুদ দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং অবস্থা এতটাই নাজুক যে বিদেশ থেকে ইতিমধ্যে চড়া দামে গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। এ দুঃসময়ে জকিগঞ্জে গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়ার সুখবর জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। নতুন এ গ্যাস ক্ষেত্রে মোট মজুদ ৬৮ বিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে উত্তোলনযোগ্য মজুদ ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট। এখান থেকে দৈনিক ১০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। আর ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত পাওয়া যাবে জকিগঞ্জের গ্যাস যার দাম ১ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। এ বছরের ১ মার্চ জকিগঞ্জে কূপ খনন শুরু করে বাপেক্স। ৭ মে কূপ খনন শেষ হয়। ১৫ জুন ড্রিল স্টিম টেস্ট গ্যাসের শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি। কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ৬ হাজার পিএসআই আর ফ্লোটিং চাপ ১৩ হাজারের বেশি। জকিগঞ্জে নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হলেও এ গ্যাস পেতে আরও দেড় থেকে দুই বছর লাগবে। বাংলাদেশে এটা নিয়ে জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স আটটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারে সমর্থ হলো। বাপেক্সের প্রযুক্তিবিদদের প্রতি জাতির আস্থায় যথাযথ প্রতিদান দিতে সামর্থ্য হয়েছেন তারা। বাপেক্স সিলেট গ্যাস ফিল্ডে আরও ১০টি ড্রিলিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সিসমিক সার্ভে ও নতুন করে ড্রিলিংয়ের কাজ শুরু করবে তারা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রয়োজন মেটাতে আরও অনেক অনেক গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করা দরকার। এজন্য সাগর প্রান্তকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ভাবা হয়। কিন্তু সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাবে সরকার বিদেশি কোম্পানিগুলোর শরণাপন্ন হতে বাধ্য হচ্ছে। এ সীমাবদ্ধতা কাটাতে বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোয় সরকার আরও যত্নবান হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর