শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জাতিসংঘে উজ্জ্বল বঙ্গবন্ধু, উজ্জীবিত শেখ হাসিনা

মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

জাতিসংঘে উজ্জ্বল বঙ্গবন্ধু, উজ্জীবিত শেখ হাসিনা

‘আজ থেকে ২২ বছর আগে ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে এ মঞ্চে দাঁড়িয়ে সাধারণ পরিষদের এক মহান অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, জাতির জনকের কন্যা হিসেবে এই অনন্য বিশ্ব ফোরামে বক্তব্য রাখার বিরল সম্মান ও সুযোগ আমাকে আবেগাপ্লুত করে তুলেছে।’-প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার দেখানো সেই পথে হাঁটেন কন্যা শেখ হাসিনা। নিজের মত-অভিমত বিশ্বদরবারে প্রতিফলিত করেনও তাঁর (বঙ্গবন্ধু) মতো করে। যার সবচেয়ে সুন্দর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণটা করেছেন ১৯৯৬ সালে, ২৪ অক্টোবর, জাতিসংঘের ৫১তম সাধারণ অধিবেশনে। ২৬ বছর আগে দেওয়া জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ওই ভাষণের মধ্য দিয়ে যেন পথ হারানো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব ফিরিয়ে এনেছিলেন কন্যা শেখ হাসিনা। এদিন পিতার বলা কথাগুলোই বিশ্বকে নতুনভাবে, নতুন মোড়কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গোটা বাঙালি জাতি এমনকি তৃতীয় বিশ্বের নেতারাও আপ্লুত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই ভাষণের পর দুই যুগ পার হয়েছে। বিশ্বাস করি, নানা চড়াই-উতরাই ও ষড়যন্ত্র থাকলেও বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। এরপর ১৯৯৯, ২০০০ ও ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সব মিলিয়ে মোট ১৭ বার জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার হবে ১৮তম। যতবারই শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছেন ততবারই এর সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ও দায়িত্ববান সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, দারিদ্র্য, পরিবেশ বিপর্যয়, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু সমাধানের দাবি যেমন জানিয়েছেন; তেমনি জাতিসংঘের সূক্ষ্ম সমালোচনায়ও শামিল হয়েছেন বিশ্বব্যাপী নিপীড়িত ও শরণার্থী মানুষের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে। চোখে আঙুল দিয়ে বলেছেন, এ-জাতীয় ঘটনাকে অগ্রাহ্য করে শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ প্ল্যাটফরম জাতিসংঘে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রায় প্রতিবারই বাবার বক্তব্য উদ্ধৃত করতে দেখা গেছে কন্যা শেখ হাসিনাকে। আপ্লুত হয়েছেন ১৫ আগস্ট, ১৯৭১-এ হারিয়ে ফেলা বাবা-মা, ভাই-ভাবি, চাচা-ফুফার নৃশংস হত্যার কাহিনি শোনাতে গিয়ে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের প্রতিবাদের কথাও বলেছেন অবলীলায়। ১৯৯৯, ৫৪তম অধিবেশনে বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার আমার ওপর অনেক অত্যাচার-নির্যাতন করেছে, আমি বারবার কারাবরণ করেছি এবং বেশ কয়েকবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমার লক্ষ্য থেকে কোনো কিছুই আমাকে বিরত করতে পারেনি।’

জাতিসংঘ অধিবেশনে মাত্র একবার কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। পরের সেপ্টেম্বর দেখার সুযোগ তাঁর হয়নি। এর আগেই নৃশংস উপায়ে স্বজাতির হাতে প্রাণ দিতে হয় তাঁকে। জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ পরিষদের সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু প্রায় ২৫টি ইস্যু তুলে ধরেছিলেন; যা তৎকালীন বাংলাদেশ তো বটেই, গোটা বিশ্বের পররাষ্ট্রনীতিকে নাড়া দিয়েছিল। বিশ্বের সর্বোচ্চ সংস্থায় বাংলায় উচ্চারিত এ ভাষণটি আজও বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ও সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।

নিজ দেশের জগগণের শক্তির প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমাদের মতো দেশসমূহ, যাদের অভ্যুদয় সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে, এই আদর্শে বিশ্বাসই তাদের বাঁচিয়ে রাখবে। আমাদের কষ্ট স্বীকার করতে হতে পারে। কিন্তু আমাদের ধ্বংস নেই। এই জীবনযুদ্ধের মোকাবিলায় জনগণের প্রতিরোধ ক্ষমতা ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাই শেষ কথা। আত্মনির্ভরশীলতাই আমাদের লক্ষ্য। জনগণের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগই আমাদের নির্ধারিত কর্মধারা। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সম্পদ ও প্রযুক্তিবিদ্যায় অংশীদারিত্ব আমাদের কাজকে সহজতর করতে পারে, জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে পারে। কিন্তু আমাদের ন্যায় উদীয়মান দেশসমূহের অবশ্যই নিজেদের কার্যক্ষমতার প্রতি আস্থা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, শুধু জনগণের ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হতে পারি, গড়ে তুলতে পারি উন্নততর ভবিষ্যৎ।’

বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণের প্রতিটি শব্দ শুধু ৭ কোটি বাঙালি নয়, ৩০ লাখ শহীদও যেন অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন। এ ভাষণের আবেদন কখনো শেষ হওয়ার নয়, গত ৪৭ বছরেও হয়নি। ভাষণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এটাকে ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ আখ্যা দিয়েছিলেন বিশ্বনেতারা, আর বাংলাদেশের কাছে তা কূটনৈতিক সম্পর্কের চিরঞ্জীব এক সনদ।

বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের সম্পর্কের শুরুটাও বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে; ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। জাতিসংঘ মহাসচিব উ থান্ট সে সময় পাকিস্তানি গণহত্যাকে ‘মানব ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়’ আখ্যা দিয়ে ৭ কোটি বাঙালির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। পাশে ছিলেন প্রাণভয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ বাংলাদেশি শরণার্থীকে সাহায্য করেও। জাতিসংঘের এ সম্পৃক্তির ফলে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম কৌশলগতভাবেও লাভবান হয়। যদিও সম্পর্ক উত্তরোত্তর গভীর হওয়ার এ ধাপটি ততটা মসৃণ ছিল না। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরের বছরই (১৯৭২ সাল) বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির তৎপরতা শুরু করলে তাতে বাদ সাধে পাকিস্তান। জুলফিকার আলী ভুট্টোর প্ররোচনায় চীন ভেটো দিলে সদস্যপদ লাভে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ১৯৭৩ সালেও। পরে অবশ্য অসাধারণ দক্ষতায় এ সমস্যা মোকাবিলা করেন বঙ্গবন্ধু। ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪, বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় বাংলাদেশকে ১৩৬তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। বৈশি^ক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানতম এ চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়ে সেদিন উচ্ছ্বাস দেখিয়েছিলেন জাতির জনক। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘আমি সুখী হয়েছি যে বাংলাদেশ জাতিসংঘে তার ন্যায্য আসন লাভ করেছে।’ এর ঠিক এক সপ্তাহ পর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন জাতির জনক। জাতিসংঘ ইস্যুতে বঙ্গবন্ধুর শুরু করা সে পথ শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। প্রতি বছরই বেড়েছে কার্যপরিধি ও কর্মতৎপরতা। শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ থেকে বঙ্গবন্ধু পেয়েছিলেন মর্যাদাপূর্ণ ‘জুলিও কুরি’ পদক। আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘের শান্তি মিশনে প্রথম অবস্থানে। বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকায় কাজ করে এখন পর্যন্ত ১৩২ শান্তিরক্ষী প্রাণ দিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের এ ত্যাগ এক গর্ব ও অহংকারের উপাখ্যান।

বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশে এ সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ আসাম, ত্রিপুরা, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, আন্দামান-নিকোবর, ধানবাদ, মানভূম, সাঁওতাল পরগনা প্রভৃতি এলাকায়ও বাংলা ভাষার প্রচলন রয়েছে। নেপাল, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইতালি ইত্যাদি দেশে বিপুল পরিমাণ বাংলাভাষী অভিবাসী ও প্রবাসী রয়েছেন।

বাংলাদেশে হাজারো বাংলা ভাষাভাষী পন্ডিত এসেছেন। বিশ্ব জয় করেছেন রবীন্দ্রনাথ-অমর্ত্য সেনদের মতো বাঙালিও। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আগে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না, যিনি বাংলা ভাষাকে বিশ্বপরিসরে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে প্রথম বাঙালি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তাঁর মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে প্রথম বাংলা ভাষা পরিচিত পেয়েছিল। কিন্তু বিশ্বাঙ্গনের কোথাও তিনি বাংলায় বক্তব্য দেননি। ১৯৯৮ সালে অমর্ত্য সেন অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান। নোবেল পুরস্কার পাওয়া দ্বিতীয় বাঙালি তিনি। তিনিও তাঁর বক্তব্যটি দিয়েছিলেন ইংরেজিতে। বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। বাঙালি ড. মুহম্মদ ইউনূস তাঁর নোবেল বিজয়ীর বক্তব্যেও বাংলা ভাষাকে প্রাধান্য দেননি।

অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুই প্রথম ব্যক্তি যিনি গোটা বিশ্বের সামনে প্রথমবারের মতো বাংলায় বক্তৃতা করেছেন। যার ধারাবাহিকতা এখন কন্যা শেখ হাসিনা বজায় রেখেছেন। জাতিসংঘে ভাষণ প্রদানের লক্ষ্যে বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ইতিমধ্যে দেশের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের জন্য ভূয়সী প্রশংসা পাওয়ার পাশাপাশি ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন নিয়ে নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে তাঁকে এ উপাধিতে ভূষিত করে আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন্স নেটওয়ার্ক।

শুধু মুকুট মণি উপাধিই নয়, বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়নে ভূয়সী প্রশংসাও করা হয়েছে ওই অনুষ্ঠানে। ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন্স নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাক্স অধিবেশনে উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রীর অবদান উল্লেখ করে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আমরা আপনার কথা শুনতে চাই, বিশেষ করে এজন্য যে আমরা যখন পৃথিবীর দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের অগ্রগতি বিশ্লেষণ করি যা প্রতি বছর জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক করে থাকে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অগ্রগতিতে বিশ্বে প্রথম হয়েছে। তাই আমরা সে অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই।’

জাতিসংঘে এভাবেই উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছেন বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা। এর আগে তিনি জাতিসংঘ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’; ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ‘আইটিইউ’ অ্যাওয়ার্ডসহ সংস্থাটি থেকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সদর দফতরে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বঙ্গবন্ধুকে ‘ফ্রেন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ উপাধি দিয়েছেন উপস্থিত বিশ্বনেতারা।

ইতিহাসের স্বরূপ অনুসন্ধান করলে পাওয়া যাবে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন; আর তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ধারাবাহিকতায় স্বৈরশাসক এরশাদের পতন হয়, বিএনপি-জামায়াতের মুখোশ উন্মোচন হয় এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রুদ্ধ দ্বার খোলে। আজ সে ধারাবাহিকতাতেই ১৮তম বারের মতো জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সত্যের স্বরূপ সাদা। সেই সাদার পক্ষে থাকতে পক্ষপাতিত্ব নিয়েই বলছি, বিশ্বের সর্বোচ্চ এ সংস্থা (জাতিসংঘ) থেকে অতীতে বাংলাদেশ যা পেয়েছে, বর্তমানে যা পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে যা পাবে সবকিছুতেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান থাকবে। এখানেই উজ্জ্বল বঙ্গবন্ধু, উজ্জীবিত শেখ হাসিনা।

লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

সর্বশেষ খবর