সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

আবাসিক থেকে বাণিজ্যিক

এই রূপান্তর বন্ধ হওয়া দরকার

রাজধানীর আবাসিক এলাকাগুলো তাদের আবাসিক বৈশিষ্ট্যের তকমা হারাচ্ছে। ওয়ারী, ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরা প্রতিটি আবাসিক এলাকা এখন পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক এলাকায় রূপ নিয়েছে। বাণিজ্যিক বৈশিষ্ট্যের কারণে এসব এলাকায় প্রায় সারাক্ষণ লেগে থাকে যানজট। শব্দদূষণ মানুষের শ্রবণ শক্তি কেড়ে নেওয়ার বিপদ সৃষ্টি করছে। রাজধানীর ওয়ারী আবাসিক এলাকার শুরু সেই ব্রিটিশ আমলে। আবাসিক এলাকা হিসেবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নির্মাণ করেছিল রাজধানীর উত্তরা মডেল টাউন, বনানী ও গুলশান। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এ আবাসিক এলাকাগুলোর অধিকাংশ এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। এলাকাগুলোতে বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে ওঠায় হারিয়েছে আবাসিক মর্যাদা। রাজউক নির্ধারিত নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে আবাসিক প্লট অতি সহজেই বাণিজ্যিক প্লটে রূপান্তর হচ্ছে। ইতোমধ্যে গুলশান বনানীর কয়েকটি সড়কের দুই পাশ বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বাণিজ্যিক ব্যবহারের ফলে আবাসিক এলাকাগুলো হারিয়েছে স্বকীয় রূপ। ২০০৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে রাজউকের গুলশান ও বনানী আবাসিক এলাকার শুটিং ক্লাব থেকে গুলশান ২ নম্বর চত্বর পর্যন্ত; বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, গুলশান-বনানী সংযোগ ব্রিজ থেকে গুলশান-বারিধারা ব্রিজ পর্যন্ত; গুলশান-মহাখালী ব্রিজ থেকে বাড্ডা লিঙ্ক রোড পর্যন্ত প্লটগুলো বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেয়। একই সঙ্গে বনানী ১১ নম্বর রোডের উভয় পাশের প্লটগুলোকে অভিন্ন সুযোগ দেওয়া হয়। তবে এসব রোডের বাইরেও গুলশান, বনানী, বারিধারায় বিভিন্ন আবাসিক প্লটে নির্ধারিত ফি দিয়ে রাজউকের অনুমোদন নিয়ে বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবাসিক এলাকাগুলো বাণিজ্যিক এলাকায় রূপান্তর হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এ অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য হওয়া উচিত নয়। আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য রক্ষায় সরকার দৃষ্টি দেবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর